মালিককে বাঁচাল পোষা কুকুর-”স্টার শুধু আমার প্রাণ নয়, আমার ছেলেকেও মাতৃহারা হবার থেকে রক্ষা করেছে।’

রাত ১১.৩০ নাগাদ এসেক্সের সাউথ-এণ্ড-অন-সি শহরে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন ত্রিশ বছর বয়সী আ্যামি এডমনসন। সঙ্গে ছিল স্টার। তাঁর প্রিয় পোষ্য, স্ট্র‍্যাফোর্ডশায়ারের ক্রস পিটবুল প্রজাতির কুকুর। ঠিক তখনই ঘটে ঘটনাটি। এক যুবক আ্যামির কাছে শহরের অন্য এক প্রান্ত সাউথচার্চ-এর ঠিকানা জানতে চান এক যুবক। আ্যামি ঠিকানা বলে দেবার জন্য, পিছন দিকে ঘুরলেই, আচমকা তাকে আক্রমণ করেন ওই যুবক। মাটিতে ফেলে তাঁর গলায় ছুরি বসিয়ে দেবার চেষ্টা করতে থাকেন অজ্ঞাতপরিচয় ওই যুবক। তবে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, প্রিয় পোষ্য স্টার। মনিবকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে আর কালবিলম্ব করেনি স্ট্র‍্যফোর্ডশায়ারের বুল টেরিয়ার, স্টার। যুবকের পা সজোরে কামড়ে ধরে ওই কুকুর। ততক্ষণে নিজেকে সামলে নিয়েছেন আ্যামি। উঠে দাঁড়িয়ে চিত্‍কার চেঁচামেচি শুরু করতেই, স্টার-এর হাত থেকে মহিলার কাছে নিজের প্রাণভিক্ষা চান ওই যুবক। শেষমেষ আ্যামির কথাতেই, ওই যুবকের পা ছেড়ে দেয় স্টার।

তাত্‍পর্যপূর্ণ এই ঘটনায় কার্যত হতচকিত হয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বের নেটমাধ্যম। খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই স্টারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনেরা। খোদ আ্যামি কী বলছেন? ‘স্টার আমার জীবন বাঁচিয়েছে। ওই যুবক যখন আমাকে আক্রমণ করেছিল তখন ভেবেছিলাম আমি আর হয় তো আমার নয় বছর বয়সী ছেলেকে আর দেখতে পাব না। আমার ছেলেকে হয় তো মাতৃহারা হয়ে বাঁচতে হবে। স্টার শুধু আমার প্রাণ নয়, আমার ছেলেকেও মাতৃহারা হবার থেকে রক্ষা করেছে।’

এখানেই থেমে থাকেননি আ্যামি, তাঁর গলায় শোনা গিয়েছে স্টারের উচ্চকিত প্রশংসা। দ্য ডেইলি মেইলকে দেওয়া সাক্ষাত্‍কারে, স্টারের আচরণে তিনি যে হতবাক হয়ে গিয়েছেন, তাও গোপন করেননি আ্যামি। ‘ কাউকে আক্রমণ করা স্টারের একেবারেই স্বভাববিরুদ্ধ, ও এই দুনিয়ার সব চেয়ে ভালোবাসার এবং আদরের জীব। ও এতটাই আদুরে যে ও চেটে চেটে কাউকে মেরে ফেলতে পারে।’ হাসছিলেন আ্যামি। ওই যুবক সম্পর্কে তিনি বলেন, সম্ভবত টাকাপয়সা জনিত কারণেই ওই যুবক তাঁকে মাঝরাস্তায় আক্রমণ করেছিল।

আর যাকে ঘিরে এত উন্মাদনা সেই স্টারের কী খবর? তার দিন কাটছে আদর-ভালোবাসায়। সেই দিন বাড়ি ফিরেই স্টারের কপালে জুটেছিল দ্বিতীয়বার নৈশভোজের সুযোগ। তার পর থেকে আদর ও ভোজনেই দিন কেটে যাচ্ছে তার।

Latest articles

Related articles