
ওয়াশিংটন, ডিসি – সম্প্রতি ‘Wide Awake Podcast’ এ এররল মাস্ক (Elon Musk-এর পিতা) বিতর্কিত মন্তব্যের সেলেব্রিটি হিসেবে নিজের ঘৃণ্য মনোভাব সবার সামনে তুলে ধরেছেন। তার বক্তব্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক হুসেন ওবামার ও সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার ব্যাপারে ঘৃণ্য, অসত্য ও প্রমাণহীন দাবির কথা উঠে এসেছে, যা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে।
এররল মাস্ক প্রথমেই সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে নিয়ে বলেছিলেন,
“আমরা বুঝেছি যে ওবামা একজন সমকামী, যিনি এমন এক পুরুষের সাথে বিবাহিত যিনি মহিলার পোশাক পরেন।”
তারপর হোস্ট জোশুয়া রুবিনের অবাক হওয়ার মুহূর্তে তিনি বলেন,
“আপনি জানেন না? জোয়ান রিভার্স এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে বলেছিলেন – আর তিনি মাত্র দুই সপ্তাহ পর মারা যান। এটা তো সাধারণ জ্ঞান।”
এখানে এররল মাস্ক মিশেল ওবামাকে “একজন পুরুষ” বলার দাবি তুলে ধরেন, যা ভিত্তিহীন ও অপমানজনক।
এররল মাস্ক শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে নয়, তাঁর নিজের ছেলে এলন মাস্কের প্রতি ব্যক্তিগত আক্রমণও চালান। তিনি অভিযোগ করেন যে, এলন ভালো বাবা ছিলেন না।
তিনি উল্লেখ করেন, এলনের প্রথম সন্তান মাত্র ১০ সপ্তাহ বয়সে সিডিএস (সডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোম) এ মারা যায়, বলে দাবি করেন যে –
“শিশুটি আয়াদের অতিরিক্ত যত্ন নেওয়ার কারণে মৃত্যুবরণ করে। যদি এলন আমার কথাগুলো শোনেন, তাহলে তিনি আমাকে গুলি করে ফেলবেন।”
এছাড়াও, তিনি এলনের বাকি নাতি-নাতনিদের নিয়ে বলেন যে, তাদেরকে অনেক আয়াদের কাছে রেখে বড় করা হয়েছে, যা এক ধরনের অসাধু এবং অস্বাভাবিক পদ্ধতি।
এররল মাস্কের এসব বিতর্কিত বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। অনেক ব্যবহারকারী তাঁর এই অসত্য ও অযৌক্তিক মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহারকারীরা অভিযোগ করেন, এই ধরনের বক্তব্য শুধুমাত্র সমাজে নিম্ন প্রবৃত্তির মানুষদের জনপ্রিয়তা বাড়ায় এবং অপমানকর গুজবকে ছড়িয়ে দেয়, যা জনমানুষে বিভ্রান্তি ও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এররল মাস্কের এই বক্তব্য শুধু একটি ব্যক্তিগত মতামত বা মন্তব্যের সীমা ছাড়িয়ে, রাজনৈতিক ও সামাজিক নৈতিকতার প্রশ্নকে উস্কে দিয়েছে।
অসত্য এবং চরম অপমাণকর এমন মন্তব্য করা, বিশেষ করে জনমানসে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে, নিন্দিত হওয়া উচিত।
বর্তমান সময়ে, সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমে এ ধরনের মন্তব্যের ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে, যা দেখায় – সত্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে বক্তব্য রাখতে না পারলে তা কিভাবে ব্যক্তিগত ও সামাজিক বিশ্বাসকে আঘাত করতে পারে।