নিউজ ডেস্ক : দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে অক্সিজেনের জোগান। অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রে ও বৈষম্যমূলক আচরণ করছে মোদি সরকার। কেন্দ্র সরকারের দেওয়া তথ্যই বলছে, এপ্রিল মাসে দিল্লিতে অক্সিজেন এর চাহিদা ছিল ৭০০ মেট্রিকটন কিন্তু তারা পেয়েছে মাত্র ৪৯০ মেট্রিক টন অক্সিজেন। অন্যদিকে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের অক্সিজেন এর চাহিদা ৪৪৫ মেট্রিক টন থাকলেও সেখানে অক্সিজেনের যোগান ছিল ৫৪৩ মেট্রিকটন। বৈষম্যের শিকার দিল্লিতে অক্সিজেনের অভাবে গত সপ্তাহে ২৫ জন ও শনিবার ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রকে কড়া নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার মধ্যরাতের মধ্যে দিল্লিতে অক্সিজেনের জোগান নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত।
একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলে যেন অক্সিজেনের অতিরিক্ত জোগান মজুত করে রাখে় কেন্দ্র। যাতে প্রয়োজন পড়লে সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে অক্সিজেন সরবরাহ করা যায়।
দিল্লির একাধিক হাসপাতালের আবেদনের শুনানির পরে ৬৪ পাতার একটি রায়ে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এলএন রাও ও বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভট্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। রায় ঘোষণার সময় বিচারপতিরা বলেন, ‘‘অনেক হয়েছে। যতটা বরাদ্দ করা হয়েছে, তার থেকে বেশি কেন্দ্রকে দিতে বলা হচ্ছে না। কিন্তু বরাদ্দ অনুযায়ী দিতে হবে। যদি সোমবার মধ্যরাতের মধ্যে অক্সিজেন না দেওয়া হয়, তা হলে আমরা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।’’
সংক্রমণে রাশ টানতে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে লকডাউন জারির পরামর্শ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
শুধু অক্সিজেন নয়, কোভিড টিকার দাম নিয়েও কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতিরা বলেন, ‘‘গরীব বা প্রান্তিক মানুষরা হাসপাতালে গিয়ে টিকার জন্য ৬০০ টাকা দিতে পারবে না। আপনাদের দাম ভেবে দেখা উচিৎ।’’ সেই সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে একটি কেন্দ্রীয় নীতি তৈরি করার জন্য কেন্দ্রকে দু’সপ্তাহ সময় দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। অন্যদিকে গতকাল দেশের সব শীর্ষস্থানীয় বিরোধী নেতা নেত্রীরা এক যৌথ বিবৃতিতে মোদি সরকার সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করার এবং বিনামূল্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ করার দাবি জানিয়েছেন।