নিউজ ডেস্ক : সোমবার মেট্রো চ্যানেলের ‘অরাজনৈতিক’ সভায় বাংলার শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীদের মুখে শোনা গেল বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া সুর। দেবলীনা বিজেপির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, আমাকে ভয় দেখাবেন না। আর কেউ যদি অপরাধ করে তার শাস্তি হয় ফাঁসি,জেল তার শাস্তি কখনো ধর্ষণ হতে পারে কি?
সায়নী ঘোষ, দেবলীনা দত্ত, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় প্রমূখ বাংলার একের পর এক শিল্পীর উপর সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণের ‘প্রতিবাদ’ জানাতে এবার পথে নামলেন বুদ্ধিজীবীরা। কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন কৌশিক সেন, শুভা প্রসন্ন, সুজয় চট্টোপাধ্যায়, অভিক মজুমদার ও সোহিনী গুপ্তের মতো বিশিষ্ট বর্গ। অবশ্যই ছিলেন দেবলীনা এবং সায়নী ঘোষ ও।
দেবলীনার বক্তব্য,’ আমাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। আরেকটু সমাজ সচেতনতামূলক সুরে তিনি বলেন, ক্ষমতায় না এসেই ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছে। ক্ষমতায় এলে তো গণধর্ষণ করে দেখাবে।’ যারা তাকে হুমকি দিচ্ছে তাদের শিক্ষাগত ঘাটতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তবে তার অভিযোগ, তিনি ভয় না পেলেও এখন তাঁর মাকেও হুমকি দেয়া হচ্ছে যেটাকে তিনি ভয় পাচ্ছেন। তিনি বলেন,’আমার মা হার্টের রোগী এই আক্রমণের মুখে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। একজন মানুষের এত বড় ক্ষতি করার অধিকার তাদের কেউ দিয়েছে কি?
বরাবরই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ানো ব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন বলেন, ‘বিজেপি যেভাবে সংস্কৃতির আমদানি করতে চাইছে বাংলায়, তা ভয়ঙ্কর। এই প্রবণতা আটকাতে না পারলে বাংলার চরম বিপদ আসন্ন।’ যদিও প্রত্যেকের বক্তৃতায় এই একই কথা ঘুরেফিরে উঠে আসে।
সম্প্রতি অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের এক টুইট এর বিরুদ্ধে রবিন্দ্র সরোবর থানায় এফআইআর করেন তথাগত রায়। এ নিয়ে তথাগতর সঙ্গে টুইটারে একপ্রস্থ যুদ্ধ হয় সায়নীর। যার খবর মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছায়। এ প্রসঙ্গে এদিন পুরশুড়ার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হুমকি দিচ্ছে ধর্ষণ করবে নাকি। ক্ষমতা থাকলে একটা করে দেখাও দেখি।
আর যাই হোক এদিনের এই ‘অরাজনৈতিক’ সভাথেকে একটা কথা বারবার উঠে এসেছে যে, বিজেপি ক্ষমতায় আসলে তার পরিণতি হবে ভয়ঙ্কর। বিশেষত মহিলাদের জন্য।