কৃষকদের ট্রাক্টর প্যারেড দিল্লি ঢুকবে প্রজাতন্ত্র দিবসে, সুভাষ জয়ন্তিতে ঘেরাও করা হবে প্রত্যেক রাজ্যের রাজভবন

সাইফুল্লা লস্কর : ২৬ শে নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া কৃষক আন্দোলন ছাড়িয়ে গিয়েছে এক মাস। প্রাণ গিয়েছে ৪০ জনের বেশি কৃষকের। আত্মহত্যা করেছেন বেশ কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তি। কৃষকদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে জাতীয় সম্মান ফেরৎ দিয়েছেন বহু ক্রীড়াবিদ সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সমাজকর্মী। কৃষক নেতাদের সঙ্গে বহুবার আলোচনা হয়েছে কেন্দ্রের । পুরুষদের সঙ্গে প্রতিবাদে যোগ দিতে দেখা গেছে বহু স্বল্প, মধ্য বয়সী এবং প্রবীণ মহিলাকে। তা সত্বেও কৃষি বিল ফেরাতে নারাজ মোদি সরকার। কেন্দ্রের এই অনড় মনোভাব দেখে গতকাল বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নয়া কর্মসূচির ঘোষণা করল কৃষক সংগঠনগুলি।

বেশকিছু কৃষক সংগঠনের মধ্যে আলোচনার পর ক্রান্তিকারী কিষাণ ইউনিয়ন এর সভাপতি দর্শন পাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “আমরা একটা ট্রাক্টর প্যারেডের ডাক দিয়েছি প্রজাতন্ত্র দিবসে। ওই দিন আমরা দিল্লির সীমান্ত এলাকা থেকে দিল্লির মধ্যে ট্রাক্টর প্যারেড করে প্রবেশ করব। এটি প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড হয়ে যাবার পরপরই অনুষ্ঠিত হবে।”

কৃষকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে মকর সংক্রান্তির দিন সারা দেশজুড়ে তিনটি কৃষি বিলের কপি জ্বালানো হবে। ১৮ ই জানুয়ারি দেশজুড়ে মহিলা কিষাণ দিবস পালন করা হবে, কৃষিকাজে মহিলাদের অবদান স্মরণ করার জন্য। আবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের জন্মদিন সুভাষ জয়ন্তীতে অর্থাৎ ২৩ শে জানুয়ারি তে সারা দেশজুড়ে সমস্ত রাজ্যপালের রাজ ভবন ঘেরাও করার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে কৃষক সংগঠনগুলি। তারপরে ২৬ শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর প্যারেড দিল্লিতে প্রবেশ করবে যদি কৃষকদের ন্যায্য দাবি মেনে কৃষি বিল প্রত্যাহার না করে মোদি সরকার।

এগুলো ছাড়াও সিপিএম কংগ্রেস সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল বিভিন্ন জায়গায় মিছিল, অবরোধ, বিক্ষোভ সহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করছে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে এবং কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে। সব মিলিয়ে প্রবল চাপে রয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। কেন্দ্রের তরফ থেকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান করার কথা বলা হচ্ছে কিন্তু কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবি মানা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে সরকারের তরফে। এখন কৃষকদের এই বৃহত্তর আন্দোলন কে মোদি সরকার কিভাবে সামলায় সেটাই দেখার বিষয়।

Latest articles

Related articles