
মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক দাঙ্গা ও উত্তপ্ত পরিস্থিতি তদন্তে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। গত ১৮ এপ্রিল হিংসাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি, যেখানে স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও বিএসএফ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এই পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে প্রস্তুত প্রতিবেদনে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তাহীনতা ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেদনে মুর্শিদাবাদের সীমান্তঘেঁষা এলাকায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমবর্ধমান হামলা ও হুমকির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজ্য পুলিশের ব্যর্থতায় তাদের জীবন বিপন্ন। এমতাবস্থায়, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের দাবি উঠেছে। পাশাপাশি, সীমান্তজুড়ে ধর্মীয় উগ্রবাদের প্রসার ও পূর্বপরিকল্পিত হিংসার ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যপাল। এর মোকাবিলায় সংবিধানের ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করে রাষ্ট্রপতি শাসন (প্রেসিডেন্ট’স রুল) জারির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকে।
রাজ্যপালের প্রতিবেদন এখন কেন্দ্রের হাতে। সংবিধানের বিশেষ ধারা প্রয়োগ করে রাজ্যে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে সক্রিয় আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে, তৃণমূল সরকার এই প্রতিবেদনের সত্যতা ও রাজ্যপালের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বলে খবর।

মুর্শিদাবাদের ঘটনায় রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে তীব্র রাজনৈতিক টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেদিকেই সকলের নজর আটকে আছে।