
পবিত্র রমজান মাসে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী জঙ্গি সংগঠন হামাস, ফিলিস্তিনিদের থেকে দখলকৃত জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে গিয়ে ইবাদত ও ইতেকাফে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনটি আল-আকসা মসজিদকে শুধুমাত্র ধর্মীয় আনুগত্যের প্রতীক নয়, বরং দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অংশ হিসেবেও বিবেচনা করছে।
হামাসের বিবৃতিতে পশ্চিম তীর, জেরুজালেম ও ইসরায়েলে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, রমজানের এই মাসে আল-আকসা মসজিদে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে উপস্থিত থাকুন, সেখানে দৃঢ় থাকুন এবং ইতেকাফ করুন। রমজানের বরকতময় দিন ও রাতগুলো ইবাদত, দৃঢ় অবস্থান এবং শত্রু ও বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে উৎসর্গ করুন, পাশাপাশি জেরুজালেম ও আল-আকসার প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করুন যতক্ষণ না তা ইজরায়েলের দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত হয়।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা করেছে। ইজরায়েলের সরকারের মুখপাত্র ডেভিড মেনসার জানিয়েছেন, জননিরাপত্তার স্বার্থে প্রতি বছরের মতোই স্বাভাবিক বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে। গত বছর গাজার যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েল আল-আকসায় প্রবেশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, বিশেষ করে পশ্চিম তীর থেকে আসা ফিলিস্তিনিদের ক্ষেত্রে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপ ফিলিস্তিনিদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, কারণ তারা আশঙ্কা করছেন যে এই নিষেধাজ্ঞাগুলো তাদের ধর্মীয় অধিকার খর্ব করছে এবং পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে।

উল্লেখ্য, আল-আকসা মসজিদ ফিলিস্তিনিদের জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয় এবং দীর্ঘদিনের রীতির অংশ হিসেবে ইহুদিরা সেখানে প্রবেশ করতে পারলেও প্রার্থনার অনুমতি নেই।
এই পরিস্থিতিতে, হামাস ফিলিস্তিনিদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আল-আকসা মসজিদ রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে, যা ধর্মীয় আনুগত্যের পাশাপাশি দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।