বিশ্বজিত কর্মকার,ইসলামপুরঃ ভালো ছবি আঁকেন তিনি। এনটিপিসি এর সর্ব ভারতীয় অঙ্কন প্রতিযোগিতায় মিলেছিল স্বর্ণ পদকও। নতুন কিছু তৈরির অদম্য ইচ্ছেই হয়তো বাঁচার রসদ সন্দীপ বাবুর। মুর্শিদাবাদের ইসলামপুর চক এলাকার সন্দীপ গুঁইন। পেশায় আঁকার শিক্ষক হলেও ভাস্কর্য শিল্পে তার জুড়ি মেলা ভার। মিলেছে নানা স্বীকৃতিও। তবে করোনা পরিস্থিতিতে টান পড়েছে তার এই শিল্পেও। গতানুগতিক চিন্তাধারার ঊর্ধ্বে গিয়ে নতুন কিছু করলে হয়তো এমনই হয়। এমত অবস্থায় যদি কোনো সরকারি সাহায্য পান সন্দীপ বাবু তবে খুব ভালো হয়,একটি অনুশিল্পে হাত ঘষতে ঘষতে এমনটাই বলছেন সন্দীপ গুঁইন।
২০১৭ সালে কলকাতার লেকটাউনে রাজ্য সরকার দ্বারা স্বীকৃতি লাভ,২০১৯ এ কেন্দ্র সরকার,এছাড়াও মুর্শিদাবাদ জেলা হস্ত শিল্প সংস্থায় বরাবরই মন কাড়ে সন্দীপ গুঁইনের তৈরি কাজ গুলো। পাট,কাগজ,ফেলে দেয়া আসবাব,রেশম,গাছের অংশ এসব দিয়েই স্থাপত্য তৈরি করেন তিনি। এছাড়াও অনুশিল্পেও যথেষ্ট দক্ষতা তার। তবে করোনা পরিস্থিতি বদলেছে অনেক কিছুই।
তিনি জানান,মহামারীর আগে বেশ কয়েক জায়গা থেকে এসেছিল বায়না। কলকাতা থেকেও পাটের প্রতিমা তৈরির বায়না এসেছিল তার। তবে তা হয়ে ওঠেনি। গত দুই বছরে সেসব কাজ নেই বললেই চলে। আর তাই মানসিক ভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। এমত অবস্থায় সরকারের কাছে তার অনুরোধ, এই সব ক্ষুদ্র শিল্পীদের কথা যদি সরকার ভাবত,তাহলে রাজ্যজুড়ে শিল্পের উন্নতি হত।