নিউজ ডেস্ক : নন্দীগ্রামের পুনর্গণনা মামলায় এবার বিচারপতির এজলাস নিয়ে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল। এক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্য বিজেপি সভাপতির দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বিচারপতি চন্দের ছবি দিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, কুণাল ঘোষরা। নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসনে ভোটের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলাটি অন্য বিচারপতির এজলাসে পাঠানোর আবেদন করা হয়েছে।
শুক্রবার সেই মামলাই ওঠে বিচারপতি কৌশিক চন্দের সিঙ্গল বেঞ্চে। হাইপ্রোফাইল এই মামলা কেন বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে দেওয়া হল? তা নিয়েই সওয়াল করেছেন এই দুই তৃণমূল নেতা।
নন্দীগ্রামে ভোটের দিন ও গণনার সময় কারচুপি করে জিতেছেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ভোটের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে পুনর্গনণার দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সেই মামলাটি ওঠে বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে। তবে, মামলাকারী সশীরে উপস্থিত না থাকায় এদিন আর শুনানি হয়নি। ২৪ জুন শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
এরপরই বিচারপতি কৌশিক চন্দকে ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধে। বিজেপির লিগাল সেলের সঙ্গে বিচারপতি চন্দের যোগাযোগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এদিন ফেসবুকে তৃণমূলের রাজ্যে সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, দিলীপ ঘোষের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে কৌশিক চন্দের ছবি প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘বিচারপতি কৌশিক চন্দ। এঁর এজলাসে রয়েছে নন্দীগ্রাম মামলা। ইনি বিজেপিদরদী। নিরপেক্ষ বিচার কি সম্ভব? প্রশ্ন থাকবেই। অনুরোধ, বিচারপতি চন্দ এই মামলাটি ছেড়ে দিন। রাজনৈতিক কোনও মামলা তিনি না নিলে ভাল হয়।’ কুণাল ঘোষের ফেসবুকে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে বিজেপির লিগাল সেলের অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষ বক্তৃতা করছেন এবং মঞ্চে অনেকের মধ্যে বসে রয়েছেন কৌশিক চন্দ। যা হাইলািট করে দিয়েছেন কুণালবাবু।
ফেসবুকে কুণাল ঘোষ লিখেছেন
তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র তথা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়ের টুইটে ওই একই ছবি দিয়ে লিখেছে, ‘দিলীপ ঘোষের সভায় ইনি কে? ইনিই কি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ? ঘটনা হল কলকাতা হাইকোর্টে এর আগে এই ব্যক্তি বিজেপির হয়ে অনেক মামলা লড়েছেন। এখন তাঁকেই নন্দীগ্রামের মামলার বার দেওয়া হয়েছে। একটি বড় কাকতালীয়?’ বিজেপির হয়ে গত কয়েক বছরের কৌশিক চন্দ কী কী মামলা লড়েছেন তারও একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন ডেরেক।
বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা কালো ব্যাচ পরে বিচারপতির এজলাসে কালো পতাকা নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন গত শুনানির দিন। তাকে রাজনীতির সঙ্গে ন্যায় বিচারকে না মেশাতে অনুরোধ করেন।