
উত্তরপ্রদেশের দাসনার মন্দির থেকে বিতর্কিত হিন্দুত্ববাদী নেতা যতি নারসিংহানন্দ সম্প্রতি হিন্দুদের অস্ত্র তুলে নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের আইএসআইএস-এর মতো সন্ত্রাসী সংগঠন গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, মুসলমানরা হিন্দুদের নির্মূল করতে চায় এবং হিন্দুদের তাদের ধর্ম, পরিবার ও অস্তিত্ব রক্ষার জন্য অস্ত্র ধারণ করতে হবে। মোরাদাবাদে হিন্দুদের উপর কথিত হামলার উল্লেখ করে তিনি হিন্দুদের সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে হিন্দুদের অস্ত্র সরবরাহের জন্য সাহায্য চেয়েছেন।
এই উস্কানিমূলক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার করেছে, যেখানে অনেকেই কর্তৃপক্ষের কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। সিনিয়র সাংবাদিক ড. মুকেশ কুমার টুইটারে তার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এই ধরনের বক্তব্য দেশে গৃহযুদ্ধের হুমকি সৃষ্টি করতে পারে এবং নারসিংহানন্দের অবিলম্বে গ্রেপ্তার দাবি করেছেন। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের সুরক্ষার কারণে এই ধরনের উগ্রবাদীরা মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের রাজ্য সভাপতি শওকত আলী ভিডিওটির প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, এই ব্যক্তি নিয়মিতভাবে হিন্দুদের মুসলমানদের বিরুদ্ধে উস্কে দেয়, অস্ত্র ধারণের আহ্বান জানায়, আইএসআইএস-এর মতো সন্ত্রাসী সংগঠন গঠনের কথা বলে, তবুও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, পুলিশ কি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভয় পায়, নাকি তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের হওয়ায় যা খুশি বলতে পারেন?
উল্লেখ্য, এর আগেও যতি নারসিংহানন্দের বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে সমালোচনা হয়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে হরিদ্বারে অনুষ্ঠিত ধর্ম সংসদে মুসলমানদের বিরুদ্ধে গণহত্যার আহ্বান জানিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। তবে, সেই সময়েও তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এই ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য সমাজে বিভাজন ও সহিংসতা উস্কে দিতে পারে। কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করে দেশের শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষা করা।