
খড়গপুর শহরের এক অভিজাত হোটেল থেকে বিপুল অঙ্কের নগদ অর্থ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সংশ্লিষ্ট হোটেল ঘর থেকে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকার নগদ উদ্ধার হয়েছে, যার বেশিরভাগই ৫০০ টাকার নোটে। অভিযোগের তীর খড়গপুর সদরের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী সুমিত মণ্ডলের দিকে।
সূত্রের দাবি, উদ্ধার হওয়া অর্থ নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সুমিত মণ্ডল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি জেলা পর্যায়ে নির্বাচনী কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, হোটেলের নির্দিষ্ট কক্ষে দীর্ঘদিন ধরেই অবস্থান করছিলেন সুমিতবাবু। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় জেলা পুলিশ।
অভিযানের সময় হোটেল ঘর থেকে একটি ব্যাগে থাকা নগদ অর্থ উদ্ধার হয়। তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশ এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। টাকা কোথা থেকে এল, বা এর উৎস কী — তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল। সুমিত মণ্ডলের দাবি, উদ্ধার হওয়া টাকা তাঁর ব্যক্তিগত নয়। তিনি বলেন, “এই ঘটনায় আমার কোনও যোগ নেই। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।”
অপরদিকে, জেলা বিজেপির সভাপতি সুধাংশু পাল জানান, “বিষয়টি আমাদের অজানা ছিল। দলীয় স্তরে এর তদন্ত করা হবে। নির্বাচনের আগে এমন ঘটনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই আমাদের ধারণা।” দল থেকে এখনও সুমিত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় মহলে এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি অভিযোগ তুলেছে, বিজেপি অর্থ শক্তির অপব্যবহার করছে। যদিও বিজেপির তরফে তা উড়িয়ে দিয়ে বলা হয়েছে, এটি একটি রাজনৈতিক ফাঁদ।
এখন দেখার বিষয়, প্রশাসনিক স্তরে এই ঘটনার কী পরিণতি হয় এবং তদন্তে আসল সত্য উদ্ঘাটিত হয় কি না।