সম্প্রতি রাজ্য রাজনীতির কেন্দ্রে উঠে এসেছে এক চমকপ্রদ ঘটনা। প্রাক্তন তৃণমূল নেতা হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্ভাব্য যোগাযোগ নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের খবর, হুমায়ুনকে ফোন করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নিজে। ফলে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত মিলছে।

প্রশ্ন উঠছে—এই ফোনালাপ কি কেবল সৌজন্য? নাকি তার আড়ালে রয়েছে বড়সড় রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ? এই প্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মন্তব্যকে ঘিরে জল্পনা আরও ঘনীভূত হয়েছে। অধীরবাবু সরাসরি না বললেও, তাঁর মন্তব্য থেকে স্পষ্ট—তিনি বিষয়টি জানেন এবং কৌশলগত কারণে আপাতত মুখ খুলছেন না।

প্রসঙ্গত, হুমায়ুন কবীর একাধিকবার দল বদল করেছেন। তৃণমূল থেকে কংগ্রেস, আবার তৃণমূলে ফিরে আসা—রাজনৈতিক জীবনে তাঁর ‘ঘুরে দাঁড়ানো’র ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। এই অবস্থায় কংগ্রেস তাঁকে ফেরাতে চাইলে তা যে দলটির জন্য একধরনের সাংগঠনিক বার্তা বহন করবে, তা বলাই বাহুল্য।

বিশ্লেষকদের মতে, লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে কংগ্রেসের সংগঠনকে আরও দৃঢ় করতে অভিজ্ঞ ও পরিচিত মুখদের দলে টানতে চাইছে হাইকম্যান্ড। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ফোনকল সেই কৌশলেরই অঙ্গ হতে পারে।

এখন দেখার বিষয়, হুমায়ুন কবীর সত্যিই কংগ্রেসে যোগ দেন কি না এবং অধীরবাবু এই পরিস্থিতিকে কিভাবে সামাল দেন। রাজ্য রাজনীতিতে এই ঘটনাপ্রবাহ যে আগামীদিনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে, তা বলাই যায়।