এনবিটিভি ডেস্ক, আসানসোল: দামোদর অজয় থেকে অবৈধ বালি পাচার আটকাতে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা শাসক খুরশীদ আলী কাদরীর নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। এই দলে বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিক ছাড়াও স্থানীয় বি এল আর ও বা পুলিশ না নিয়ে পুলিশ লাইন থেকে পুলিশ নেয়া হচ্ছে।
সেই সঙ্গে বহিরাগত চালক ও মেকানিক্স কেও রাখা হচ্ছে। আটক করার ট্রাক বা যন্ত্র গুলিকে ঘাট থেকে তুলে আনার জন্য। সোমবার ভূমি রাজস্ব দপ্তরের অধিকারীক সমরেন্দ্র নাথ নন্দ, জেলা পুলিশ লাইনের পুলিশকর্মী এবং পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকরা বারাবনি থেকে আসানসোলের দিকে বড় বড় বালির ট্রাকে বলি পাচারের খবর পেয়ে ছোটেন। সেখান থেকে ১২৫০ কিউবিক ফুট সহ বড় ১৭ টি বালি বোঝাই ট্রাক তারা আটক করেন। এর মধ্যে ১০ টি ট্রাক ঝাড়খণ্ডের।এদের কয়েকজনের কাছে রবিবারের চালান ছিল। যেগুলো তারা যেখানে বালি মজুদ আছে সেখান থেকে আনার কথা। কিন্তু রবিবারের চালান সোমবার ব্যবহার করা যায় না। তাছাড়া কয়েকটি গাড়িতে চালান ছিল না। তদন্তকারী আধিকারিকরা উত্তর থানা পুলিশের হাতে ১৭ টি ট্রাক কেই তুলে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরিবহন দপ্তর কাগজপত্র খতিয়ে দেখে তারা আলাদা করে কেস করার ব্যবস্থা নিয়েছে । পাঁচটি ট্রাক কে কম্পিউটার লক করে তাদের বিরুদ্ধে পরিবহন দপ্তরে কালো তাকিকাভুক্ত কেস দেওয়া হয়েছে ৷
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে রাণীগঞ্জ বল্লভপুর ঘাটে। সেখানে পাঁচটি বালি বোঝাই ট্রাক নদীর ঘাট থেকে এই জেলার বিশেষ দলটি আটক করেছে এবং একই সঙ্গে ওই পাঁচটি ট্রাক কে কম্পিউটার লক করে তাদের বিরুদ্ধে পরিবহন দপ্তরে কালো তাকিকাভুক্ত কেস করা হয়েছে। জেলাতে এমন ঘটনা প্রথম যেখানে পাঁচটি ট্রাককে পরিবহন দপ্তরে কালো তালিকাভুক্ত করল এবং ট্রাক গুলি যে যে এলাকার সেখানে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও কয়েকদিন আগেই পাণ্ডবেশ্বর এবং কাঁকসা থেকে কয়েকটি বালি বোঝাই ট্রাক,ট্রাক্টর ও বালি তোলার একটি যন্ত্র এই জেলার বিশেষ দলটি আটক করেছে। গত দশ দিনে ট্রাক এবং ট্রাক্টর মিলিয়ে প্রায় ৫০ টি গাড়ি আটক করা হয়েছে এবং প্রতিক্ষেত্রে কেস করা হয়েছে ও বিপুল পরিমাণ জরিমানা ভূমি রাজস্ব দপ্তর এবং পরিবহন দপ্তর একইসঙ্গে আদায় করেছে৷