আসামে ভোট শেষে প্রার্থীও কিনছে বিজেপি! তড়িঘড়ি প্রার্থীদের জয়পূরে পাঠাল মহাজোট

নিউজ ডেস্ক : আসামে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছে গত ৬ ই এপ্রিল। ফলাফল ঘোষণা হবে ২ রা মে। কিন্তু এরইমধ্যে রাজ্যে বিজেপির ফলাফল ভালো হবে না বুঝে গেরুয়া শিবির বিরোধী মহাজোটের প্রার্থী ক্রয় করতে মনোযোগী হয়েছে বলে অভিযোগ মহাজোট নেতাদের। আর সে কারণেই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মহাজোটের অন্তত ২০ জন প্রার্থীকে আসাম থেকে বিমানে করে রাজস্থানের জয়পুরের একটি হোটেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।

 

বিষয়টি ইতিমধ্যেই স্বীকার করে নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সূরজেওয়ালা। সূর্যেওয়ালা বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে যে সমস্ত রাজ্যের কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে সরকার গঠন করে সব জায়গাতেই তারা কংগ্রেস সরকার ভেঙে দেওয়ার অপচেষ্টা করে। সেজন্যই আমরা আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে আমাদের প্রার্থীদেরকে নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তরিত করেছি।

 

আসাম বিধানসভা নির্বাচনের জন্য অন্তত দশটি রাজনৈতিক দল আসামের প্রদেশ কংগ্রেস এবং অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রাতিক ফ্রন্ট এর নেতৃত্বে গঠিত মহাজোটের অন্তত ২০ জন বিধায়ককে রাজস্থানের জয়পুর শহরের বহির্ভাগে একটি হোটেলে পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বিধায়কদের মধ্যে বেশিরভাগ বদরুদ্দিন আজমল এর দল এ আই ইউ ডি এফ এর। এআইইউডিএফ এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভোট গ্রহণ পর্ব সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর গেরুয়া শিবির তাদের নোংরা কৌশল ব্যবহারের চেষ্টা করছে এবং এই সময়টিতে আমাদের বেশকিছু প্রার্থী আজমীর শরীফের জিয়ারতের যেতে চাইছিলেন সেজন্যই তাদেরকে পাঠানো হয়েছে রাজস্থানে। বিজেপি ঘোড়া কেনাবেচা অর্থাৎ এমএলএ এমপি এবং বিরোধী প্রার্থী এবং নেতাদের ক্রয়ের দিক থেকে এখন দেশব্যাপী সুপরিচিত হয়ে উঠেছে। যেখানেই তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় না সেখানে তারা সর্বক্ষণ চেষ্টা করে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের বিধায়ক এবং নেতাদের বিভিন্ন হুমকি দিয়ে এবং অর্থের প্রলোভন দিয়ে ক্রয় করে নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার। কিছুদিন আগেও এমনই অভিযোগ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন আমাদেরকে ২০০ টি আসন পেলেই হবে না তার থেকে অন্তত ৩০ টি আসন পেতে হবে কারণ বিজেপি গাদ্দারদের কে কিনে নেবে।

Latest articles

Related articles