নিউজ ডেস্ক : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকে বিজেপির মধ্যে অভ্যন্তরীণ গোলযোগ ক্রমে বেড়েই চলেছে। একের পর এক নেতা নেত্রী বিজেপির রাজ্য স্তরের নেতৃত্ব এবং দলের নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন। এবার অসন্তোষের ইঙ্গিত মিলল বনগা সাংগঠনিক জেলা কমিটির বৈঠকে। বৈঠকে কোনো কারণ ছাড়াই অনুপস্থিত ছিলেন তিন বিজেপি বিধায়ক। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোট গুঞ্জন।
জানা গিয়েছে, রবিবার বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে একটি জরুরি সাংগঠনিক বৈঠকে বসেছিলেন নেতারা। রাজ্য নেতৃত্বে পাশাপাশি, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলার নেতারাও। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না তিন বিধায়ক। আমন্ত্রণ জানালেও বৈঠকে আসেননি বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস,বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া এবং গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। কেন গরহাজির তিন বিধায়ক? Zee ২৪ ঘণ্টার তরফে যোগাযোগ করা হলে অশোক কীর্তনীয়া বলেন, ‘শারীরিক ভাবে অসুস্থ। তাই বৈঠকে উপস্থিত হতে পারিনি।’ সুব্রত ঠাকুর বলেন, ‘আগে থেকেই মতুয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গে একটি বৈঠক ঠিক থাকায়, সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত হতে পারিনি।’ যদিও ফোনের কোনও উত্তর দেননি বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। কেবল এই বৈঠক নয়, ভোটের পরেই বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় হওয়া দিলীপ ঘোষের বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন না বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। এমনকী, দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দিয়েছিলেন তিনি।
যদিও বিজেপির তরফ থেকে বলা হচ্ছে এই বৈঠকের ব্যাপারে সবাইকে অবগত করা হয়েছিল। কিন্তু ওই তিনজন ব্যক্তিগত কারণে অনুপস্থিত ছিল। তবে বিষয়টিতে বিজেপির অন্দরেও অস্বস্তি কাজ করছে বলে সূত্রের খবর। তৃণমূলের তরফ থেকে বিজেপিতে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষের কারণে তিন বিধায়কের অনুপস্থিতি বলে জানানো হয়েছে।