সাইফুল্লা লস্কর : আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইরানের শীর্ষ মিলিটারি কমান্ডার জেনারেল কাশেম সোলেমানিকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করে তাকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে ইন্টারপোলের সাহায্যে নোটিশ জারি করল ইরান। ট্রাম্প ছাড়াও এই নোটিশে নাম রয়েছে মার্কিন সরকার, পেন্টাগন এবং সামরিক দপ্তরের আরো ৪৭ জন উচ্চপদস্থ আধিকারিকের। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার জেনারেল সুলাইমানি হত্যার ব্যাপারে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মার্কিন আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হতে দেখা গেল ইরানকে। যদিও প্রথমবার ইন্টারপোল ওই নোটিশকে প্রত্যাখ্যান করে দেয়।
উল্লেখ্য গত বছর ৩রা জানুয়ারি তারিখে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের বিমানবন্দরের বাইরে এক মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের এই শীর্ষ মিলিটারি কমান্ডার। তিনি তাঁর জীবদ্দশায় পৃথিবীর সবথেকে বেশি আলোচিত জেনারেল হিসেবে উঠে এসেছিলেন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম গুলিতে। তিনি ইরানের আইআরজিসি এর তরফে ইরানের বহির্বিশ্বে সব ধরনের সামরিক এবং গুপ্তচরবৃত্তির কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন। ইরানের বাইরে বিভিন্ন প্রক্সি শক্তিগুলোর সাহায্যে ইরানের স্বার্থরক্ষায় তিনি সক্রিয় ছিলেন। তার মৃত্যুতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায় ইরানের জনমানসে। ইরান এই হত্যার সমানুপাতিক এবং যথোপযুক্ত জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়।
ইরানের রাজধানী তেহরানের বিচারব্যবস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন ট্রাম্প সহ মার্কিন প্রশাসনের ৪৭ জন গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিক আন্তর্জাতিক আইন বিরুদ্ধ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত। এটি রাষ্ট্রসঙ্ঘের নীতিরও পরিপন্থী। ইরানের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এতদিন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি পদে থাকার কারণে তার বিরুদ্ধে যে ইমিউনিটি ছিল তা ২০ ই জানুয়ারির পর থেকে আর থাকবে না। তাই তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া তুলনামূলক সহজ হবে। তবে এরা আদৌ সোলেমানি গাছ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত বিচারের সম্মুখীন করতে পারবে কিনা এই নিয়ে রয়েছে বিস্তর সংশয়।