লালগোলায় পুলিশের মারে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ, পরিবারকে দেখানো হলোনা মৃতদেহ!

আব্দুস সামাদ, লালগোলাঃ পুলিশ যেমন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তারক্ষী, তেমনই আইনের রক্ষকও বটে। কিন্তু এবার সেই পুলিশের মারেই বুধবার এক নির্দোষ ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের লালগোলা থানার নসিপুর এলাকায়। মৃতের নাম সহিদুল হক(২৯)। এই ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

সূত্রের খবর, বুধবার রাতে নসিপুর এলাকার একটি মাঠে গোপনে জুয়া খেলার ঠেক বসেছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় লালগোলা থানার পুলিশ। জুয়ার ঠেক ভাঙতে পুলিশ এসেই শুরু করে দেয় লাঠিচার্জ। দিকবিদিক ছোটাছুটি শুরু করে সকলে। আহত হন কয়েকজন৷ জুয়ার আসরে একজনকে ডাকতে এসেছিলেন সহিদুল। লাঠিচার্জ করায় ছুটে পালাতে গিয়ে জলাশয়ে পড়ে যান তিনি। তারপরও পুলিশ বেধড়ক মারধর করে ওই যুবককে বলে অভিযোগ। সেই সময় কয়েকজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গেলেও সহিদুলকে ফেলে রেখেই চলে আসে পুলিশ। তারপর ওই যুবককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে দাবি করেছে মৃতের পরিবার। পুলিশকে খবর দিলে বুধবার রাত পেরিয়ে গিয়ে বৃহস্পতিবারও আসেনি পুলিশ। অবশেষে শুক্রবার সকালে পুলিশ এসে গ্রামের এক জলাশয় থেকে মৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে।

কিন্তু এখানেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ শেষ নয়। জানা গিয়েছে, সহিদুলের মৃতদেহ পরিবার ও গ্রামবাসীদের না দেখিয়েই ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে চলে যায় পুলিশ। তারপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবার থেকে পাড়া-প্রতিবেশীরা। তাঁরা অভিযোগ তুলে বলেছেন, স্থানীয় নেতাদের মদতে নিজেদের দোষ ধামাচাপা দিতেই পরিবারকে দেহ দেখাতে চায়নি পুলিশ।

সহিদুল ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি। তিন সন্তান, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও মা-কে নিয়ে সংসার ছিল তাঁর। নেই বাবা। এখন অতীত তিনিও। নিঃস্ব হয়ে পড়ল সহিদুলের পরিবার।

Latest articles

Related articles