কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাসে পিএইচডি করার জন্য আবেদনপত্র জমা নিয়েছিল, হয়েছিল লিখিত পরীক্ষা ও তারপর মুখোমুখী ইন্টারভিউ। তারপরেই প্রকাশ হয় পিএইচডিতে সুযোগপ্রাপ্তদের তালিকা। সেই তালিকা দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়ে নাগরিক সমাজ। বিশেষ করে সংখ্যালঘু সমাজ।
পিএইচডির শুন্যপদ ছিল ৮ টি। তালিকায় দেখা যায় নাম আছে ৬ টি। জেনারেল বিভাগ ও এস এসটি বিভাগে নামগুলি সঠিক থাকলেও ফাকা থাকে ওবিসি বিভাগের নাম দুটি। সেখানে নামের পরিবর্তে লেখা ছিল NFS অর্থাৎ নট ফাউন্ড সুইটেবল।
এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে নাগরিক সমাজ। সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারে নিজেদের প্রতিবাদ জানায়।
বামুনদের পরিচালিত পত্রপত্রিকাগুলি এই খবর কভার না করলেও বাকি বিকল্প সংবাদ মাধ্যমগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বঞ্চনার খবর গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করে।
বারংবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই বিষয় নিয়ে মতামত চাইলেও তারা কোন মতামত দেয়নি।
অবশেষে প্রতিবাদের চাপে পড়ে পিছু হটে সোমবার কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় আবার আপডেটেড তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে NFS এর পরিবর্তে নাম বসে দুটো।
উল্লেখ্য, এই প্রথম বঞ্চনা হচ্ছে এমন নয়, এর আগেও বহুবার পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘুদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। বার বার বঞ্চনার বিরুদ্ধে আন্দোলন হলেও এভাবে প্রত্যেকবারই সফল হয় না। কিন্তু এবারের সাফল্য যে শক্তি যোগাবে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মুসলিমরা রাজ্যে প্রায় ৩০ শতাংশের কাছাকাছি হলেও সমস্ত দিক দিয়ে তারা পিছিয়ে। দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে ওবিসি নামে সংরক্ষণ দিলেও সেখানে ‘এ’ ‘বি’ ভাগ করে দেওয়ায় মুসলিমরা যথেষ্ট সুযোগ পায় না। আবার কিছু ক্ষেত্রে সুযোগ পেলেও সেগুলো থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয় বলে অভিযোগ।