বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সাংসদদের বিরুদ্ধে ফের খড়গ হস্ত তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘অবিলম্বে শিশির অধিকারী এবং সুনীল মন্ডলের সাংসদ পদ থেকে বরখাস্ত করতে হবে। কারণ ২০১৯ লোকসভা ভোটে মমতা ব্যানার্জিকে সামনে রেখে তৃণমূলের হয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন সুনীল মন্ডল এবং শিশির অধিকারী। অথচ একুশের বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে দলত্যাগ করে তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু তাদের এখন আর নেই সেই রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা। অধিকারী পরিবার তাদের নিজেদের বুথেই ব্যাপক হারের সম্মুখীন হয়েছে এই বিধানসভা নির্বাচনে।
কাঁথির সাংসদ শিশির বাবু এবং পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মন্ডলের সাংসদ পদ যাতে খারিজ হয় সেবিষয়ে লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিটি লিখেছিলেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ ব্যানার্জি। কিন্তু চিঠি লেখা হলেও সেবিষয়ে কোনও সাড়া দিচ্ছেন না লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।’ এর পাশাপাশি কুণাল ঘোষ আরও বলেন, ‘বিজেপির হয়ে তারকেশ্বরে বিধানসভা ভোটে লড়াই করেন স্বপন দাশগুপ্ত। ভোটে হেরে যান। তাই দ্রুত তাঁকে আবার রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য করা হল। প্রসঙ্গত, আগেও উনি রাজ্যসভায় মনোনীত সদস্য ছিলেন। রাজ্যসভায় ইস্তফা দিয়ে বিধানসভায় বিজেপির হয়ে লড়াই করেন।
এত তাড়াতাড়ি তাঁর রাজ্যসভায় প্রত্যাবর্তন হয়ে গেল অথচ আমাদের তৃণমূলের থেকে বারবার চিঠি দিয়ে দলত্যাগী সাংসদদের বরখাস্ত করার কথা বলা হলেও তা করা হচ্ছে না। এই প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ হোক। বৈষম্যমূলক আচরণ করছে কেন্দ্র বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এগুলো বন্ধ করা হোক। আর শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘অবিলম্বে শুভেন্দুকে সারদা-নারদা কাণ্ডে গ্রেপ্তার করুক সিবিআই। বিজেপিতে গিয়ে সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচতে চাইছে শুভেন্দু। এটা চলতে পারে না। উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে রাজ্য সরকারের কাজে বাধা দিতে চাইছে কেন্দ্র। প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি বন্ধ করুক কেন্দ্র। উল্লেখ্য একই মামলায় তৃণমূলের ৪ হেভিওয়েট এর বিরুদ্ধে সিবিআই মামলা চালালেও শুভেন্দু পুরোপুরি ছাড় পেয়ে গেছে এই ব্যাপারে।