লকডাউন করলেই সব কমে যাবে? মানুষকে একটু সময় দিতে হবে না? – প্রশ্ন মমতার

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

81953916

রাজ্যে প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজ্য সরকার স্থানীয় স্তরে লকডাউন ঘোষণা করেছে। কোথাও জারি করা হয়েছে কার্ফু। কোথাও রাত্রিকালীন কার্ফু জারি করা হয়েছে। বাংলায় সংক্রমণ সাড়ে ৮ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেলেও এখনও তেমন বড় কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করেনি সরকার। সোমবারই ঘোষণা করা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে বন্ধ থাকবে স্কুল। গরমের ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপরেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়, মালদহ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। একজনরে দেখে নিন, সাংবাদিক বৈঠকে কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রী।

৩.০৮ সবাইকে সচেতন করব, কিন্তু ভয় দেখাবো না। এই সাংবাদিক বৈঠক থেকে কোনও রাজনৈতিক কথা নয়। এখনই লকডাউনের কোনও চিন্তা নেই। লকডাউন করলেই সব কমে যাবে? মানুষকে একটু সময় দিতে হবে না? বাইরে থেকে হাজার হাজার লোক আসছে, করোনা সেখানেও ছড়াচ্ছে। লকডাউন করলে তো মানুষের কষ্ট হবে।

৩.০৫ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নির্বাচন ঘোষণার সময় ভাল করে ভাবা উচিত ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারেরও ভাবা উচিত ছিল। কেন্দ্রীয় সরকার এতদিন কিছু করেনি। বিভিন্ন সরকারি হোটেলে ‘সেফ হোম’ তৈরি করা হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের আরটি-পিসিআর করোনা পরীক্ষা করার কথা বলেছি। আমরা চেষ্টা করব, ঝড় মোকাবিলা করার। ভয় পাবেন না, আতঙ্কিত হবেন না।

৩.০০ সভা বাতিল করলেও আমি মানুষের পাশে আছি। অনেকের টিকা নেওযার পরেও করোনা হচ্ছে। অনেকগুলো জায়গা নির্বাচন কমিশন নিয়ে নিয়েছে, তাই জায়গার অভাব রয়েছে। আমি অনুরোধ করেছিলাম, শেষ দফার নির্বাচন একসঙ্গে করতে, কিন্তু করা হয়নি। তাই অসুবিধা হয়েছে। বিহারে তিনটি দফা হয়েছে, বাংলায় কেন ৮টি দফা? আর করোনার পরিস্থিতি এখন বাড়াবাড়ি হয়েছে, এখন তো ভাবা উচিত।

২.৫৮ যুদ্ধকালীন তত্‍পরতায় কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছি। ছোট ছোট সভা করা হবে নির্বাচনের প্রচারে। কলকাতায় ২৬ তারিখ একটিই বড় সভা। কার্ফু কোনও সমাধান নয়। রাত্রিকালীন কার্ফু করে কিছু হবে না। ভয় পাওয়ার বা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে মৃত্যু কম হচ্ছে। টিকা কম আছে, কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি না দিলে রাজ্য সরকার টিকা কিনতে পারে না। সেই অনুমতি দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। রাজ্যে টিকা, অক্সিজেনের বিপুল প্রয়োজন।

২.৫৫ ওয়ার্ক ফ্রম হোমে জোর দেওয়া হচ্ছে। অফিসগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালাতে হবে। আতঙ্কে নয়, সচেতন থাকতে হবে। রাজ্যজুড়ে ৪০০ অ্যাম্বুল্যান্স কাজ করবে। যাঁদের প্রয়োজন, তাঁরাই হাসপাতালে ভর্তি হন। যাঁদের প্রয়োজন নেই, তাঁরা ভর্তি হবেন না।

২.৫০ অকারণ ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা পরিস্থিতি সামলাচ্ছি। বাইরে থেকে অনেক লোক আসছে, সেই কারণে করোনা সংক্রমন ছড়াচ্ছে। বাজারে অনেক ওষুধ, ইত্যাদি পাওয়া যাচ্ছে না। টিকাও পাওয়া যাচ্ছে না। সাড়ে চার হাজার বেড বাড়বে রাজ্যে। ১০০টি হাসপাতাল করোনার জন্য তৈরি রয়েছে, বেসরকারি ৫৮টি হাসপাতাল নেওয়া রয়েছে। তৈরি রয়েছে ২০০ সেফ হোম, সেখানে ১১ হাজার শয্যা রয়েছে। রাজ্য সরকার সবরকম পদক্ষেপ করছে।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর