এনবিটিভি নিউজ ডেস্ক, ২৫ জুলাই: সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার এন্ড এডুকেশন ট্রাষ্টের উদ্যোগে দেগঙ্গার আমিনপুর গ্রামের শফিকুল আলম সাহেবের পুত্র পারভেজ আলম। বারাসাত এম.জি.এম হাই স্কুলের কৃতী ছাত্র। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করলে সিরাত পরিবারের প্রতিনিধি তার বাড়িতে পৌঁছায়। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক ও বিশিষ্ট শিক্ষক আবু সিদ্দিক খান বলেন, পারভেজ আলম বরাবরই ভালো রেজাল্ট করত স্কুলে। পারভেজ একবার সিরাত ট্যালেন্ট সার্চ পরীক্ষায় রাজ্য পর্যায় তৃতীয় স্থান অধিকার করে সেই থেকে আমরা ওকে চিনি ও জানি। পারভেজ আলম, জীবনের চুড়ান্ত পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার ফলে আজ আমরা ওর বাড়িতে এসে পৌছালাম। সে রাজ্যের মধ্যে উনিশ তম স্থান অধিকার করে আমাদের সকলের মুখ উজ্জ্বল করেছে, আমরা ওর আগামী উজ্জল ভবিষ্যত কামনা করছি। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তুমি দৈনন্দিন কত ঘন্টা করে পড়াশুনা করতে এবং এই রেজাল্ট কিভাবে হলো? উত্তরে সে বললো, আমি প্রতিদিন নিয়ম করে তেমন পড়তাম না তবুও প্রায় পাঁচ অথবা ছয় ঘন্টা পড়তাম। আর নিয়মিত প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিনই করতাম। ওর পিতা সফিকুল আলম বলেন, আমার ছেলের এই রেজাল্টের পিছনে ওর মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি, তারপর ওর সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের অবদান কম নয়। আমি কর্মসূত্রে বাইরে থাকার ফলে শুধু আর্থিক বিষয়টা ছাড়া তেমন গাইড করতে পারিনি। আমরা কৃতজ্ঞ ওর স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলি আহসান সাহেব সহ সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রতি। ঐদিন সিরাতের পক্ষ থেকে পারভেজের হাতে শংসাপত্র, ফুল, মিষ্টি, বই, স্মারক পত্রিকা ইত্যাদি দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়। ওর দাদু প্রাক্তন প্রধান জনাব আব্দুর রশিদ সাহেব নাতির জন্য সকলের কাছে দোয়ার আবেদন করেন। সিরাত প্রতিনিধি দলে ছিলেন, বারাসাত সাব ডিভিশন কমিটির সহ সম্পাদক সেখ আজহারউদ্দীন, এহসানুল হক, আলঙ্গীর মোল্লা, মুসকান খাতুন প্রমুখ।