শেখ সাদ্দাম, মালদা: টেন্ডারে বেনিয়ম ঘিরে তৃণমূলেরই প্রধান ও সদস্যদের মারপিট, ভাঙচুর পঞ্চায়েত দফতরের ভিতরেই। তৃণমূলের প্রধান ও দলেরই কয়েকজন সদস্যের সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল। দুপক্ষের অনুগামীরাই একে অন্যের উপরে লোহার রড, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এমনকি গলায় চাদর, মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টাও হয় বলে একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। লোহার রডের আঘাতে প্রধান ও এক সদস্যের মাথা ফেটেছে বলেও অভিযোগ। সদস্যদের অভিযোগ, টেন্ডারে বেনিয়ম হচ্ছে কেন, প্রধানের কাছে সেই অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন দলেরই তিন সদস্য। ওই সময় প্রধান দলবল নিয়ে তাদের উপরে হামলা চালান বলে অভিযোগ। যদিও সদস্যদের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা ও ভাচুরের অভিুযোগ তুলেছেন প্রধানও। এক সদস্যের নেতৃত্বে তার অনুগামীরা পঞ্চায়েতে ঢুকে তার উপরে চড়াও হন বলে অভিযোগ। ঘটনায় জখম হয়েছেন উভয়পক্ষেরই কয়েকজন। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বৃহস্পতিবার ওই ঘটনাকে ঘিরে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়ায়। আর ওই ঘটনাকে ঘিরে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরে। ঘটনার জেরে অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
দুপক্ষেরই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে দলেরই প্রধান ও সদস্যদের বিবাদ নির্বাচনের মুখে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। পাশাপাশি কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা।
তৃণমূল সুপ্রিমো বারবার বলছে দলের মধ্যে কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। মিলেমিশে কাজ করতে হবে সবাইকে। জনগণকে সঠিক পরিষেবা দিতে হবে। দুয়ারে সরকার, পাড়ায় পাড়ায় সমাধান একাধিক কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে পঞ্চায়েত স্তরে দলেরই প্রধান, সদস্যদের এহেন ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে রয়েছে দল বলাই বাহুল্য।