শুধু নন্দীগ্রামেই লড়বেন মমতা, শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জের জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : নিজের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে চড়িয়ে প্রচার করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বারবার হুমকি দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধানসভা আসন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও লক্ষাধিক ভোটে হারবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রাম আসন থেকে প্রতিদ্বন্দিতার খবর প্রকাশে আসতেই শুভেন্দু চ্যালেঞ্জ করেছিলেন এই আসন থেকে মুখ্যমন্ত্রী যদি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান তাহলে তাকে শুধু একটা আসনেই দাঁড়াতে হবে। অন্য কোন আসনে দাঁড়ালে চলবে না। এবার সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে গিয়ে শুভেন্দুর প্রার্থীপদ নন্দীগ্রামের জন্য এখনই নিশ্চিত না হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর ঘোষণা করে দিলেন এবং তিনি আর অন্য কোথাও যেখানে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না তাও জানানো হয়েছে।

নন্দীগ্রামের বিধায়ক পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারী ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর সেখানে সভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তেখালির ওই সভায় তৃণমূল নেত্রী ঘোষণা করেছিলেন, ‘ভবানীপুর আমার ‘বড় বোন’। ‘মেজো বোন’ নন্দীগ্রাম। আমি যদি নন্দীগ্রামে দাঁড়াই কেমন হয়! ভাবছিলাম কথার কথা, একটু বললাম, একটু ইচ্ছা হল, একটু মনের জায়গা। একটু গ্রামীণ জায়গা। সুব্রত বক্সিকে বলছি, এটা আমার মনোবাসনা। ভবানীপুরকে উপেক্ষা করছি না।’ দলনেত্রীর ইচ্ছাকে মর্যাদা দেওয়ার পর মঞ্চেই ঘোষণা করেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। এরপর নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী চ্যালেঞ্জ ছোড়েন,’দু’জায়গায় দাঁড়াতে দেব না। আপনাকে নন্দীগ্রামেই দাঁড়াতে হবে। পদ্ম ফুল নিয়ে যে দাঁড়াবে আধ লাখ ভোটে হারাব।’ বিজেপি নেতারাও বলতে শুরু করেন, ভবানীপুরে হারবেন বলে আর একটা নিরাপদ আসন খুঁজছেন মমতা। ওই সব সমালোচনার জবাব দিতে চলেছেন মমতা। শুধু নন্দীগ্রামেই তিনি লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে খবর। লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন মমতা। সেখানে তিনি থাকবেন বলে শেখ সুফিয়ানের বাড়ির কাছে বাড়ি ভাড়া করা হয়েছে। 
 
২০১১ সালে ভবানীপুর আসনটি দলনেত্রীর জন্য ছেড়েছিলেন সুব্রত বক্সি। ওই আসনে উপনির্বাচনে জিতেছিলেন মমতা। গত বিধানসভা ভোটে ভবানীপুরে ২৫ হাজারের বেশি ব্যবধানে জিতেছেন। তবে লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে সেখানে মাত্র ৩১৬৮ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল। এই বিষয়টিকে তুলে মমতাকে নিশানা করছে বিরোধীরা। স্বাভাবিকভাবে, মমতার কাছে ভবানীপুরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সে কারণে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করা হতে পারে বর্ষীয়ান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে।   

Latest articles

Related articles