নিউজ ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের একটি মন্দিরের ঢুকে জল পান করার গর্হিত অপরাধে নিরীহ এক মুসলিম যুবককে বেধড়ক মারধর করে শিরিঙ্গি যাদব নামক এক উগ্রবাদী। পরবর্তীতে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় ওই যুবক। কিন্তু লজ্জাজনকভাবে সেই যুবকের পক্ষ সমর্থন করে তার গুরু বলে নিজেকে পরিচয় দেন ওই মন্দিরের প্রধান পুরোহিত নরসিংহনন্দ ত্যাগী। এমনকি তিনি এই গর্হিত অমানবিক পাশবিক কর্মকাণ্ডের জন্য তার শিষ্য শিরিঙ্গী যাদবকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন বলেও তিনি স্বীকার করেন। এবার তিনি অভিযোগ করলেন দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং দেশের স্বনামধন্য পরমাণু বিজ্ঞানী ও মিসাইল ম্যান নামে খ্যাত এপিজে আব্দুল কালাম এর বিরুদ্ধে। তার মতে এপিজে আবদুল কালাম ছিলেন একজন জিহাদী যিনি শুধুমাত্র মুসলিমদের তোষণকেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন।
এছাড়াও তিনি বলেন, ডিআরডিও প্রধান থাকা অবস্থায় এপিজে আবদুল কালাম পাকিস্তানকে ভারতের পরমাণু প্রযুক্তি গোপনে সরবরাহ করেছিলেন। তিনি আরো একধাপ এগিয়ে গিয়ে বলেন, কোনো মুসলিম যত উঁচু স্তরে থাকুক ভারতবর্ষকে ভালোবাসে না, তার মধ্যে দেশপ্রেম থাকেনা। এপিজে আবদুল কালাম রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন রাষ্ট্রপতি ভবনের কোন এক গোপন কক্ষে নাকি সারাক্ষণ শুধু মাত্র মুসলিমদের অভিযোগ শোনার জন্যই তিনি অপেক্ষা করতেন বলে ও অভিযোগ করেছেন এই পুরোহিত। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি এত ভিত্তিহীন মিথ্যা বানোয়াট এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা প্রণোদিত অভিযোগ এবং অপবাদ আরোপের পর এই গেরুয়া উগ্রপন্থী এখনো পুলিশের নজরে নিষ্পাপ নিরীহ। তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি উত্তর প্রদেশের পুলিশ।