সোমবার কলকাতায় গিলেন বারি রোগে মারা গেলেন দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্র। উত্তর ২৪ পরগনার ১৭ বছর বয়সী এই কিশোরের চিকিত্সা চলছিল কলকাতার এনআরএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সেপটিক শক এবং মায়োকার্ডাইটিস তার মৃত্যুর কারণ, তবে চিকিৎসকদের সন্দেহ, GBS অন্তর্নিহিত কারণ হতে পারে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তদন্ত চলছে।
এদিকে, কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ-এ GBS আক্রান্ত দুই শিশু ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রয়েছে।
প্রথমজন: ৮ বছর বয়সী, উত্তর ২৪ পরগনার বাগুইআটির বাসিন্দা, ১২ দিন ধরে সংকটজনক অবস্থায়।
দ্বিতীয়জন: ৭ বছর বয়সী, দক্ষিণ ২৪ পরগনার দক্ষিণ বারাসাতের বাসিন্দা, ২৫ দিন ধরে চিকিৎসাধীন। সে এখন কিছুটা উন্নতি দেখিয়েছে এবং কথা বলতে পারছে।
GBS সাধারণত পেশী দুর্বলতার মাধ্যমে শুরু হয়, যা ধীরে ধীরে শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। গুরুতর ক্ষেত্রে শ্বাসযন্ত্রের পেশী দুর্বল হয়ে যায়, ফলে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট প্রয়োজন হয়।
বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সোমনাথ গোরাইন বলেন, “GBS রোগীদের মধ্যে প্রথমে দাঁড়াতে বা বসতে অসুবিধা হয়, পরে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা ও গিলতে অসুবিধা দেখা দেয়। কিছু ক্ষেত্রে রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দনের ওঠানামা হয়, যা বিপজ্জনক হতে পারে।”