দেশের রাজনীতিতে ভাতিজা মানে ভাইপোদের নিয়ে আলোচনার শেষ নেই৷ পূর্বের বাংলা হোক কিংবা পশ্চিমের রাজস্থান, ভাইপোদের প্রতি পিসিদের আলাদা স্নেহ-ভালোবাসা যেন মনের মণিকোঠায় লুকিয়ে থাকে৷ তাই ভাইপোরা ‘কেস খেলে’ তাদের ছাড়াতে থানায় গিয়ে হুজ্জুতি করতেও পিছপা হন না পিসিরা৷ তেমন দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন রাজস্থানের কংগ্রেস বিধায়ক৷
মদ খেয়ে গাড়ি চালিয়েছিল ভাইপো৷ সে অভিযোগে তাঁকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ৷ কিন্তু পিসি তো ভাইপো অন্ধ প্রাণ৷ আদরের ভাইপোর নামে একটা কথাও শুনতে নারাজ৷ থানায় ঢুকে পুলিশকেও দেন দাবড়ানি৷ পিসির ধমক খেয়ে পুলিশও ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়৷ শেষে ভাইপোকে ছাড়াতে থানার ভেতর ধরনায় বসে পড়েন পিসি ও তাঁর স্বামী৷ ঘটনাটি রাজস্থানের যোধপুরের৷
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, পিসি এসএইচওকে বলছেন, বাচ্চারা তো একটু-আধটু মদ খেতেই পারে। তা বলে তাদের থানায় আটকে রাখতে হবে। বিধায়ক মীনা একাধিকবার ভাইপোকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য এসএইচওকে অনুরোধ করেন। যদিও এসএইচও সেই অনুরোধে কর্ণপাত করেননি। একসময় এসএইচওর সঙ্গে প্রবল বাকবিতণ্ডা হয় বিধায়কের। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ না হওয়ায় প্রবল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিধায়ক। এরপর স্বামীকে নিয়ে থানার মেঝেতেই ধরনায় বসে পড়েন তিনি।
থানার মেঝেতে বসেই হুমকি দেন, আমি আপনাকে অনুরোধ করেছি আমার ভাইপোকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। ফোনে আমি পুরো বক্তব্য রেকর্ড করে রেখেছি। আপনি যদি আমার কথা না শোনেন তাহলে আপনার পরিণতি কী হবে তা ভেবে দেখুন। আপনি বোধহয় জানেন, গতকালই এই থানার কয়েকজন অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবার আপনার কি হয় দেখুন। বাচ্চারা সকলেই একটু-আধটু মদ খেয়ে থাকতে পারে। তার জন্য এত কড়াকড়ির কি আছে।
শুধু ভাইপোকে নয় পুলিশ আটক করেছিল তার গাড়িও। বিধায়ক অবশ্য শেষ পর্যন্ত এই গাড়িটি ছাড়িয়ে নিয়ে যান। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি গত রবিবারের হলেও মঙ্গলবার দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। ভিডিওটি সামনে আসতেই নেটিজেনরা বিধায়কের তীব্র সমালোচনা করেছেন। একজন জনপ্রতিনিধি কিভাবে থানায় ঢুকে এ ধরনের আচরণ করতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সকলেই।