নিউজ ডেস্ক : করোনা সংক্রামিত হয়ে মৃত্যুবরণ করা ব্যক্তিদের হিসেব করলে কি তারা ফিরে আসবে? তাহলে তাদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক করে কি হবে? এমন বিতর্কিত এবং অমানবিক মন্তব্য করেছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহার লাল খট্টর। নিজের রাজ্যের করোনা আক্রান্ত মৃতদের সংখ্যা রাজ্য সরকারের মুখ রক্ষায় বিকৃত করেছেন বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যটিতে ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে। যদিও বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা অনেক বেশি বলে দাবি করা হয়েছে। তাই বিজেপির এই মুখ্যমন্ত্রীর মতে করোনা সংক্রমনের স্বীকার হয়ে মৃত্যুবরণ করা ব্যক্তিদের সংখ্যা শুধুই একটা সংখ্যা। এই সংখ্যার পিছনে কোনো স্বজন হারানো পরিবার কি আছে? এই সংখ্যার পিছনে কি আছে কোনো সরকারের কোনো গাফিলতি? আছে কি কারো কোনো কাতর শিশুর আর্তি? প্রশ্ন নেটিজেনদের।
এদিকে, দেশজুড়ে চলছে গণটিকাকরণ। পয়লা মে থেকে এই তালিকায় ঢুকবে ১৮-৪৫ বছরের নাগরিকরা। কিন্তু শুধু টিকা নিলে চলবে না। মাস্ক পরা এবং দূরত্ব বজায় রাখাও সমান জরুরি। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ঠেকাতে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এমনই পরামর্শ দিয়ে আসছেন চিকিৎসক-গবেষকরা।
এ বার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর গবেষণায় আরও ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এসেছে। দেখা গিয়েছে, সঠিক সামাজিক দূরত্ববিধি না মানায়, একজন করোনা রোগীর থেকে এক মাসের মধ্যে ৪০৬ জন সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা। তাই করোনাকে ঠেকাতে জন্য সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় এবং লকডাউনের একমাত্র পন্থা। এমনটাই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।