এনবিটিভি ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার দেশের সবচেয়ে বৃহৎতম বিমান বন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন প্রধানমন্ত্রী নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন,“এই বিমান বন্দর উত্তর প্রদেশের পর্যটন ও কৃষি ক্ষেত্রে বিকাশ ঘটাবে এবং রাজ্যের উপাসনালয় তীর্থযাত্রীরা সহজেই মন্দিরে ভ্রমণ করতে পারবে।”
এদিন নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন,“পশ্চিম ইউপির কৃষি সম্ভাবনা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং ক্ষুদ্র কৃষকদের সহজে,দক্ষতার সাথে এবং তাৎক্ষণিকভাবে পণ্য রপ্তানি করতে সহায়তা করবে।”
প্রসঙ্গত,সামনে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন।ঠিক তার পূর্বেই দীর্ঘ একবছর চলমান কৃষকদের আন্দলনের চাপে ভুল স্বীকার করে বিজেপি সরকার,কৃষকদের দাবী মেনে নিতে বাধ্য হয়। যদিও লিখিত ভাবে কৃষি বিল আইন বাতিলের বিজ্ঞপ্তি পাননি আন্দোলনরত কৃষক।দিয়েছে প্রতিশ্রুতি মাত্র। বিধানসভা নির্বাচন যত সন্নিকটে আসছে ততই যেন উন্নয়নের শিলান্যাস ও প্রতিশ্রুতির ফোয়ারা ঝরছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি আজ উত্তরপ্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগরের জেওয়ারে নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। প্রকল্পের শিলান্যাস মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য এম সিন্ধিয়া।
বিমানবন্দরটি ‘যমুনা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট প্রাইভেট লিমিটেড’ (ওয়াইআইএপিএল) দ্বারা তৈরি হচ্ছে, যা প্রকল্পের সুইস কনসেশনার জুরিখ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট এজি-এর ১০০ শতাংশ সহায়তা করবে। সূত্রে জানা যায়,বিমানবন্দরের কাজ ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, এই বিমান বন্দরটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ও ভারতের বৃহত্তম বিমান বন্দর হিসাবে গড়ে তোলা হবে ।
https://twitter.com/BJP4UP/status/1463792469955416064
বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের মতে,“এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটিকে একটি বিমান চলাচল কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হবে যা সমস্ত আধুনিক, দক্ষ এবং হাই-টেক সুবিধা প্রদানের জন্য মডেল তৈরি করা হয়েছে। বিমানবন্দর এলাকায় সম্পূর্ণরূপে চালু হলে সেখানে রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত এবং অপারেশন সুবিধা সহ অ্যারো এবং নন-অ্যারো কার্যক্রম থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।”
বর্তমান প্রকল্পটি ৩৫০০ একর জমির প্রয়োজনের একটি মডেল বা ব্লু-প্রিন্ট করা হয়। উন্নয়নের প্রথম ধাপে মাত্র ১৩২৭ হেক্টর জমির কাজ করা হবে বলে জানা যায়।
প্রস্তাবিত প্রকল্পের ব্যয় আনুমানিক প্রায় ১৫০০০-২০০০০ কোটি টাকা এবং বিমানবন্দরের প্রথম পর্যায়ের উন্নয়ন প্রায় ১০,০৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে করা হবে।