নিউজ ডেস্ক : শীতলকুচিতে সাধারণ গ্রামবাসীদের গুলি করে মারার পিছনে যারা দায়ী সবার বিচার করা হবে। কেউ ছাড় পাবে না। যত বড়ো মাথা এর পিছনেই থাক না কেন তাকে টেনে বের করে আনা হবে। এই ভাষায় হুশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার কিছুদিন আগেই কোচবিহারের শীতলকুচিতেই গিয়ে জনগণের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল দিলীপ ঘোষকে। গুন্ডামীকর ভাষা ব্যবহারকারী দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কিছু ব্যক্তিকে গুন্ডামী করতে দেখা গিয়েছিল সেদিন। ভেঙেছিল দিলীপ ঘোষের গাড়ির কাচ। সেখানে তৃণমূল কর্মীদের মৃত্যুর পর আবার গুন্ডামীর ভাষা ব্যবহার করে হুমকি দিলেন আরো শীতলকুচির।
শনিবার বাহিনীর গুলিতে শীতলকুচিতে মৃত্যু হয়েছে ৪ তৃণমূল কর্মীর। ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি ঘটনার দায় চাপিয়েছেন অমিত শাহের উপর। তাঁর অভিযোগ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই রাজ্যের ভোটে কর্তব্যরত কেন্দ্রীয় বাহিনী সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। পাশাপাশি শনিবার শাহের নির্দেশেই গুলি চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। কার্যত একই সুর যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। বিজেপির বিরুদ্ধে গোটা ঘটনার দায় চাপিয়ে মিনাখাঁর সভা থেকে তিনি বলেন, “২ মে তৃণমূল সরকার গঠন করার পরই শীতলকুচির ঘটনার পূর্নাঙ্গ তদন্ত শুরু করা হবে। যত বড় মাথাই এতে যুক্ত থাকুন না কেন, কেউ রেহাই পাবেন না। সবাইকে সামনে টেনে আনা হবে। অভিযুক্তদের শাস্তি পেতেই হবে।”
শনিবার শীতলকুচিতে চার যুবচকের মৃত্যুর পরই টুইটারে অভিষেক লেখেন, “ভোটের সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে কোচবিহারের ৫ জনের। অমিত শাহ আপনি বাংলাকে যে সোনার বাংলা করার কথা বলেন, এটাই কি আপনার সেই সোনার বাংলা?” শীতলকুচিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে রবিবার টুইট করেন অভিষেক। লেখেন, “মানুষের সঙ্গে দেখা করায় মমতাকে বাধা দিতে পারেন। কিন্তু মানুষের মন থেকে তাঁকে সরাবেন কী করে?