নিউজ ডেস্ক : নিজের পুরনো কেন্দ্রে প্রচারে গিয়ে শুভেন্দুর পর চরম বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু নিজেকে বলেন, ‘নন্দীগ্রামের ঘরের ছেলে’। সেই নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে মহিলাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তিনি। এমনকি মহিলারা জুতো ঝাঁটা নিয়ে ঘিরে ধরে শুভেন্দুকে। এবার অনেকটা একই অভিজ্ঞতা রাজীবেরও। তিনি ডোমজুরের মানুষদের বলেন ‘আত্মীয়’। সেই ‘আত্মীয়’রাই এবার বিক্ষোভ দেখালেন।
এদিন বাঁকড়ায় প্রচারে গিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী। সেখানে স্থানীয় তৃণমূলকর্মীরা ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। রাজীবকে লক্ষ্য করে কালো পতাকাও দেখান তারা। তখন তাঁদের উদ্দেশে তেড়ে যান বিজেপি কর্মীরা। দু’ পক্ষের তুমুল বচসা হয়। তা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপরই দুই দলের কর্মীদের আটকাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। রাজীব দাবি করেন, ‘তৃণমূলের হার নিশ্চিত বুঝেই ওরা লোক পাঠিয়ে এসব করছে। কিন্তু এসব করে আমাকে আটকানো যাবে না।’
সম্প্রতি নন্দীগ্রামের ভেটুরিয়া এলাকায় শুভেন্দুর কনভয় আটকে ঝাঁটা, জুতো হাতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মহিলারা। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী যদিও দাবি করেন, এসবই তৃণমূলের ‘ষড়যন্ত্র’। তার পর ফের গত বৃহস্পতিবার শুভেন্দুর প্রচারের সময় হিংসা ছড়ায় নন্দীগ্রামে সোনাচূড়ায়। দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন আহতও হন। পরে সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘পাকিস্তান জিতলে যারা পতাকা তোলে, তারাই বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।’ শুভেন্দুর এই বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়। তবে যেভাবে নিজেদের গড়েই প্রবল বিক্ষোভ মুখে পড়ছেন তৃণমূল ত্যাগী নেতারা তাতে তারা যে ভোটের আসরে অনেকটাই ব্যাকফুটে একথা বোঝা খুব একটা কঠিন নয়।