ভারতের ভূখণ্ড দখলের হুমকি নেপালের প্রধানমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক : ভারতের দখলে থাকা তাদের দাবিকৃত এলাকা ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলে ফের বিতর্ক তৈরি করলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। ফিরিয়ে নেওয়া হবে কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পিয়াধুরা এলাকা, এর জন্য সব কিছু করার হুঁশিয়ারি দিলেন ওলি। দিন কয়েক পরেই দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীরা বৈঠকে বসবেন, তার আগে এই ধরণের মন্তব্য দুদেশের সম্পর্ক অবনতির কারণ হতে পারে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।

রবিবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি জানান ১৮১৬ সালের সুগৌলি চুক্তি অনুসারে এই সমস্ত  এলাকা নেপালের সীমানার অন্তর্ভুক্ত। উল্লেখ্য, জুন মাসেই নয়া ম্যাপ প্রকাশ করে নেপাল। আর সেই ম্যাপে নেপালের অন্তর্গত হিসেবে দেখানো হয় লিপুলেখ, কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরা এলাকাতিনটিকে। কাঠমাণ্ডুর দাবি, ১৮১৬ সালে ইঙ্গ-নেপাল যুদ্ধের পর সুগৌলি চুক্তি অনুসারে লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি এবং লিপুলেখ কোনওভাবেই ভারতের নয়।

ভারতকে আক্রমণ করে নেপালের প্রধানমন্ত্রী জানান, জানুয়ারি মাসের ১৪ তারিখে নেপালের বিদেশমন্ত্রী ভারত সফরে যাচ্ছেন। সেখানে তাদের জারি করা নতুন ম্যাপ নিয়ে আলোচনা হবে। দীর্ঘদিনের বিতর্কিত বিষয় উঠে আসবে। সমাধানের পথ খুঁজবে দুই দেশ।

ওলি জানান ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে বদ্ধপরিকর তার সরকার। কিন্তু ভারতের সহযোগিতা ছাড়া তা সম্ভব হবে না। নেপাল নিজের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে কোনও আপোষের পথে হাঁটবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, চিন ঘেঁষা মনোভাব নিয়ে চলা নেপালের ওলি সরকার ভারতের সঙ্গে কিছুটা হলেও দূরত্ব বজায় রেখে চলতে চাইছে। তাই দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে আদৌও কোনও সমাধানসূত্র বের হবে কীনা, তা নিয়ে বিস্তর সন্দেহ রয়েছে।

গত কয়েক মাস ধরে নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ক্রমশ অবনতির দিকে গিয়েছে। আর নেপালের নতুন মানচিত্র প্রকাশের থেকেই তার সূত্রপাত। ভারতের তিনটি জায়গা নিজেদের মানচিত্রে রেখে বিতর্কের মুখে পড়ে নেপালের কমিউনিস্ট সরকার। এবার সেই মানচিত্রই ভারতে পাঠানোর সিদ্ধান্তও নেয় নেপাল।
শুধু ভারতেই নয়, গুগলে ও ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটির কাছেও ওই মানচিত্র পাঠানো হয়েছিল অনেক আগে।

Latest articles

Related articles