একদিকে ভ্যাকসিনের আকাল। পশ্চিমবঙ্গ সহ অনেক রাজ্যই অভিযোগ করছে, চাহিদার তুলনায় ভ্যাকসিন অপ্রতুল। অন্যদিকে সরকারি তথ্যই বলছে, বহু রাজ্যেই যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ ভ্যাকসিন।
জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ভারতে করোনার টিকাকরণ শুরু হয়েছিল। এনডিটিভি-তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, তথ্যের অধিকার আইনে পাওয়া সরকারি তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী গত ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সবথেকে বেশি ভ্যাকসিন নষ্ট করেছে তামিলনাড়ু (১২.১০ শতাংশ)। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে কতটা ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে, তার ভিত্তিতেই কী পরিমাণ ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে তার হিসেব করা হয়েছে। তামিলনাড়ুর পর হরিয়ানা (৯.৭৪ শতাংশ), পঞ্জাব (৮.১২ শতাংশ), মণিপুর (৭.৮ শতাংশ) এবং তেলেঙ্গানায় (৭.৫৫ শতাংশ) ভ্যাকসিন নষ্ট করেছে।
ওই তথ্যেই জানা গিয়েছে, গত ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে ১০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের ডোজ পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ৪৪ লক্ষ ডোজই নষ্ট হয়েছে।
যে রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ভ্যাকসিন নষ্ট হয়নি বললেই চলে তার মধ্যে রয়েছে কেরল, তামিলনাড়ু, হিমাচল প্রদেশ, মিজোরাম, গোয়া, আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, দামান এবং দিউ, লাক্ষাদ্বীপ প্রভৃতি। ভ্যাকসিনের অপ্রতুল জোগানের অভিযোগ নিয়ে মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, দিল্লির মতো বেশ কয়েকটি রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যত রাজনৈতিক লড়াই শুরু হয়েছে। বিরোধী শাসিত এই রাজ্যগুলির অভিযোগ, জনসংখ্যার অনুপাতে পর্যার্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন তাদের দেওয়া হচ্ছে না।
ভ্যাকসিনের জোগান বাড়াতে ইতিমধ্যেই বিদেশে অনুমোদিত করোনার টিকাগুলিকে জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গতকাল, সোমবারই অর্থ মন্ত্রকের শীর্ষ এক সূত্র দাবি করেছে, ভারতে ভ্যাকসিনের উত্পাদন বাড়াতে টিকা উত্পাদনকারী সংস্থাগুলিকে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে কোভিশিল্ডের উত্পাদনকারী সিরাম ইনস্টিটিউটকে। আর ১৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে কোভ্যাক্সিন-এর নির্মাতা ভারত বায়োটেককে। কেন্দ্রীয় সরকারের অভিযোগ, অধিকাংশ রাজ্যেই ভ্যাকসিন নষ্ট হওয়া এবং অব্যবস্থার কারণে ভ্যাকসিনের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
🔴 RTI-তথ্যে প্রাপ্ত করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ বেশি নষ্ট হয়েছে –
◾তামিলনাড়ু – ১২.১০%
◾হরিয়ানা – ৯.৭৪ %
◾পাঞ্জাব – ৮.১২ %
◾মণিপুর – ৭.৮ %
◾তেলাঙ্গানা – ৭.৫৫%
🔴 RTI-তথ্যে প্রাপ্ত করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ কম নষ্ট হয়েছে –
◾পশ্চিমবঙ্গ
◾কেরল
◾হিমাচলপ্রদেশ
◾মিজোরাম
◾গোয়া, দমন ও দিউ,
◾আন্দামান ও নিকোবর
দ্বীপপুঞ্জ
◾লাক্ষাদ্বীপ।