নিউজ ডেস্ক : পেগাসা ইস্যুতে মিডিয়া রিপোর্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। মোদি সরকারের দ্বারা সংঘটিত এই নজরদারি কেলেঙ্কারির ব্যাপারে অভিযোগ অতি মারাত্মক বিষয় বলে রায় প্রধান বিচারপতির। বিষয়টিতে সত্য উদঘাটন জরুরি বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এডিটর্স গিল্ডের দায়ের করা মামলায় এদিন শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, মিডিয়া রিপোর্ট যদি সত্যি হয় তাহলে এটা গুরুতর অভিযোগ। এডিটর্স গিল্ডের মামলায় আবেদন করা হয়েছে, বিশেষ এজেন্সি দিয়ে তদন্ত করা হোক। ইসরাইলি পেগাসাস স্পাইওয়্যার কেলেঙ্কারির জেরে বিরোধী নেতা-সাংবাদিকদের নিশানা করা হয়েছিল। বিভিন্ন দেশে এই নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। ফ্রান্স সরকার ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করলেও নারাজ মোদি সরকার। নিজেদের মুখ লুকাতে এই ব্যাপারে বিরোধীদের অভিযোগ গণতন্ত্রের অপমান বলে অভিহিত করেছে বিজেপি সরকার।
প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্না এবং বিচারপতি সুর্য কান্তের বেঞ্চে এদিন মামলার শুনানি হয়। এদিন প্রধান বিচারপতি বলেছেন, “২০১৯ সালে আড়ি পাতার ঘটনা সামনে আসে। কিন্তু তা নিয়ে আরও তথ্য জোগাড়ের কোনও চেষ্টা হয়েছিল কি না আমার জানা নেই। আমি প্রত্যেকটি অভিযোগের তথ্য নিয়ে কিছু বলছি না, কিন্তু কয়েকজনের অভিযোগ ফোনে নজরদারি করা হয়েছিল। এর জন্য টেলিগ্রাফ আইন রয়েছে।” এই গণতন্ত্রকে হত্যা করার সামিল কেলেঙ্কারির ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনকারীদের তাদের অভিযোগের কপি মোদি সরকারকে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। মোদি সরকারকে তার জবাব দিতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মামলার শুনানিতে আইনজীবী কপিল সিব্বলের অভিযোগ, পেগাসাস এমন একটা প্রযুক্তি যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনে তাঁদের অজান্তেই প্রবেশ করে ব্যক্তিগত পরিসরে আঘাত হানা। সম্মান নষ্ট এবং ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের মানহানি। সম্প্রতি, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন নামী সংবাদমাধ্যমগুলির যৌথ তদন্তমূলক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে যে, পেগাসাস স্পাইওয়্যার ভারতে ৩০০-র বেশি মোবাইল ফোনে ঢুকিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছিল। এমনকী এই তালিকায় রয়েছেন মোদী সরকারের এক মন্ত্রীও। একাধিক বিরোধী নেতা, সাংবিধানিক ব্যক্তিত্ব, কর্তৃপক্ষ, বহু সাংবাদিক এবং শিল্পপতিদেরও ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে। এরই মাধ্যমে মোদি দরকার বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদেরকে নিজেদের সপক্ষে কাজ করতে বাধ্য করত বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এই কারণেই সিবিআই থেকে ইডি। NIA থেকে বিচারব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত অনেকে মোদি সরকারের পক্ষে কাজ করত বলে অভিযোগ অনেকের। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়েই মোদি সরকার যে তদন্ত করতে চায় না সেটা সুস্পষ্ট। মত নেট নাগরিকদের।