~শরীয়াতুল্লাহ সোহন

নিস্তব্ধ থমথমে, গাঢ় অমবস্যার গভীর রজনীতে,
সমস্ত নির্জনতা কে ছাপিয়ে যাচ্ছে পেঁচার ডাক! মাঝেমধ্যে,
গভীর নিদ্রায় মগ্ন মানুষগুলো প্রতিটি জনপদে।
বহু হৃদয় বিদারক চাপা যন্ত্রণা নিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলি,
বিছানার এক কোণে বসে বারেবারে।
ঘরে অসুস্থ মা!
মৃত্যুর প্রহর গুনছে মৃত্যু শিয়রে।
পাশে অসহায়ভাবে পড়ে আছে ঋণগ্রস্ত পিতা,
ঘুম নেই চোখে, তবুও ঘুমাতে চাইছে চিরতরে।
তাদের সবকিছু কেড়ে নিয়েছে,
বেকারত্ব নামক এক নির্জীব, নিষ্ঠুর বস্তুতে।
এই বেকারত্ব তাদের নয়, গ্রাস করেছে আমাকে,
কিন্তু ফল ভুগাচ্ছে পরিবারের সবাই কে।
তারা জীবনের সবকিছু বাজি রেখে,
উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছিল আমাকে,
এক সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুনতে।
কিন্তু ফিকে হয়ে গেল, ছিল যত স্বপ্ন!
ঋণের দায়ে গেল বিঘে তিনেক জমি,
এখন বসত ছাড়া অবশিষ্ট নেই কিছু।
ঘরে বিবাহযোগ্য অষ্টাদশী বোন!
রঙীন ডানা মেলে, উড়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর,
কিন্তু বেকারত্ব কেড়ে নিল সবকিছু সবার ।
এ বেকারত্ব শুধু একটা শব্দ নয়….
শত কোটি যুবকের যন্ত্রণার দীর্ঘশ্বাস,
লক্ষ-কোটি পরিবারের জীবন্ত লাশ।
কিন্তু এই দায় কার!
রাষ্ট্রের না আমাদের…