
বারুইপুর পুলিশ বৃহস্পতিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন যে বারুইপুরের একটি বাড়ির ছাদে দুজন কাশ্মীরি যুবক “ন্যানোবিম ২এসি” নামের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক ব্রিজ স্থাপন করেছে, যা সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডের ইঙ্গিত দেয়। পুলিশ স্পষ্ট করে জানায়, অভিযুক্ত দুজন ব্যক্তি আসলে মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা—একজন হিন্দু ও অন্যজন মুসলিম—যারা স্থানীয় এক বন্ধুর মাধ্যমে মাছচাষের ব্যবসা খুঁজতে পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন।
বারুইপুর পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, “তিন সপ্তাহ আগে বারুইপুরে ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটে তাদের সাধারণ জিওফাইবার সংযোগ রয়েছে, যা লক্ষাধিক নাগরিক ব্যবহার করেন। এতে সন্দেহজনক কিছু নেই।” পুলিশ আরও যোগ করে, “নাগরিক সচেতনতা প্রশংসনীয়, তবে কোনো সন্দেহজনক তথ্য সরাসরি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শেয়ার করা উচিত, সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়। ভিত্তিহীন তথ্য ছড়ানো জনসমাজে বিভ্রান্তি ও উত্তেজনা তৈরি করতে পারে।”
এদিকে, কাশ্মীরের পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রচারণা তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে অধিকারীর টুইটকে পুলিশ অমূলক বলে আখ্যায়িত করে। অধিকারী তার এক টুইটে দাবি করেন, স্থানীয় এক সূত্রের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে তিনি রাজ্য পুলিশ ও এনআইএ-কে তদন্তের অনুরোধ জানান।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালে অধিকারী বিধায়কদের নিয়ে বিধানসভার গেটে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা পোড়ান। এই ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
পুলিশ নাগরিকদের উদ্দেশ্যে পুনর্ব্যক্ত করে, “সন্দেহভাজন কোনো কার্যকলাপের তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়, বরং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকেই জানানো জরুরি। অযাচিত অনুমান থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হচ্ছে।”
এই ঘটনায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে প্রশাসনের সতর্কতা অব্যাহত রয়েছে।