প্রশান্ত কিশোরের ‘মগজাস্ত্র’, হিসেবি পদক্ষেপ, গোয়াতে জমি শক্ত করতে আসরে I-PAC

 

নিউজ ডেস্ক : খুব শীঘ্রই গোয়া যেতে পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাহ্, কোনও ছুটি কাটাতে নয়, বরং ত্রিপুরা, অসমের মতো এবার বিজেপি শাসিত গোয়ায় ভোট-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে চলেছে তৃণমূল। গোয়ার মাছের কারি আর বাঙালির মাছের মাছের ঝোলের মেলবন্ধন ঘটাতে চাইছে এ রাজ্যের শাসক দল। সামনের বছরই গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। সেই ভোটেই বিজেপির সঙ্গে চোখে চোখ রাখতে চাইছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা I-PAC -এর ২০০ জন সদস্য গোয়ায় তৃণমূলের জন্য মাটি প্রস্তুত করতে কাজে লেগে পড়েছে

সূত্রের খবর, আগামী বছর গোয়ার নির্বাচনে লড়তে পারে তৃণমূল। তবে এখনই চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রথমে ঐ রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এবং সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতার জনপ্রিয়তা কেমন, তা দেখার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদিও সেখানে দল জোটেও লড়তে পারে বলে খবর।

 

বুধবারের প্রচার থেকেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আভাস দেন এখন দিল্লি জয় করাই মূল লক্ষ। তিনি জানান, বিজেপি মুক্ত দেশ তৈরি করবেন। তাই দিল্লী দখল করতে গেলে যে তার আগে রাজ্য গুলিতে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে সে কথা ভালো মতই বুঝতে পেরেছে ঘাসফুল শিবির।

প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সমস্ত রাজ্যে তৃণমূলের আধিপত্য বিস্তার করবেন। সেই মতই ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে মাঠে নেমে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। আগরতলা, ত্রিপুরার পাশাপাশি তাই এবার তাঁদের নজর গোয়াতেও।

এই পরিস্থিতিতে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। আর সেদিকেই পাখির চোখ তৃণমূলের। সূত্রের খবর, আগামিদিনে গোয়া যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে রাজ্যের রাজনীতিতে তৃণমূলের জমি শক্ত করাই লক্ষ্য তাঁর। সূত্রের খবর, গোয়ায় ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই প্যাকের ২০০ জন কর্মী। তাঁরা তৃণমূলের হয়ে কাজ করতেও শুরু করেছেন। শোনা যাচ্ছে, এর পর রাজনৈতিক লড়াইয়ের প্রাথমিক ধাঁচটা বুঝতে গোয়ায় যেতে পারেন স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী। এমনকী দলের সাংসদরাও সেখানে যেতে পারেন। প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই নবান্নে মমতা-অভিষেক-প্রশান্ত কিশোরের একান্ত এবং দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে গোয়ার পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়ে থাকতে পারে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। ইতিমধ্যে কংগ্রেস নেতা লুইজিনহো ফালেইরোর দলত্যাগ করে তৃণমূলে যোগদানের খবরও শোনা যাচ্ছে। যদিও তিনি সেই খবর অস্বীকার করেছেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে ইঙ্গিত, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি নাগাদ গোয়ায় নির্বাচন হতে পারে। সেখানে কংগ্রেস, বিজেপি বা আম আদমি পার্টি (আপ)-র পাশাপাশি তৃণমূলও লড়াই করতে চায়। ঠিক যেমন পরিকল্পনা রয়েছে তাদের ত্রিপুরা নিয়ে। যদিও এতে ঘাবড়াতে নারাজ বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ”সবাইকে আসতে দিন, গোয়াকে সবাই ভালবাসে।”

Latest articles

Related articles