এনবিটিভি ডেস্ক: অবশেষে দেশের ঐক্য ও সাম্য বজায় রাখতে ‘একক বিবাহ বিচ্ছেদ ‘ আইন নিয়ে আবেদন শুনানিতে সরব হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।এই আইনের মাধ্যমে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে একটি বিবাহ বিচ্ছেদ আইন আনার লক্ষ্যে আবেদন করা হয়েছে।সেইসঙ্গে ক্ষতিপূরণের দাবিতে ও সাম্য আনতে আবেদন করা হয়েছে। ক্রমশই এই আবেদনের শুনানিতে শীর্ষ আদালতও দেশের ঐক্য ও সাম্য বজায় রাখতে একমত পোষন করেছেন।বিচারপতি এসএ বোবদে, এএস বোপান্না ও ভি রামসুব্রহ্মণ্যমের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন আইনজীবী অশ্বিণী কুমার উপাধ্যায়-সহ আরও কয়েকজন। তাঁদের সেই আবেদন শুনতে রাজি হয়েছে আদালত। ইঙ্গিত দিয়েছেন, হয়তো এই আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকারের আইন কমিশনকে এই নিয়ে পদক্ষেপ করতেও বলতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট রিপোর্টও চেয়েছে শীর্ষ আদালত।আদালতে আবেদনকারী অশ্বিণী উপাধ্যায়ের পক্ষের আইনজীবীর কাছে আদালত জানতে চায়, তাঁরা কী সমস্ত ব্যক্তিগত আইন (পার্সোনাল ল)-এর অবলুপ্তি চান? প্রশ্নের উত্তরে আইনজীবী অসম্মতি জানায় । তাদের মতানুযায়ী, আদালত এমন কোনও নির্দেশ দিক, যাতে ব্যক্তিগত আইনের মধ্যে থাকা গণ্ডি মুছে যাবে।উঠে আসে তিন তালাক প্রসঙ্গও। ধর্ম ভেদে ভিন্ন ভিন্ন বিচ্ছেদ আইন থাকায় তা মহিলাদের ক্ষেত্রে সঠিক বিচারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলেই মত প্রকাশ করেছিলেন আবেদনকারী। সেই মতকে সমর্থন করে আদালত। আবেদনে এ-ও বলা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকার যেন ধর্ম ব্যতিরেকে বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় ক্ষতিপূরণ ইত্যাদির জন্য একক আইন করে। আরও বলা হয়েছিল, বিচ্ছেদ আইনের ভিন্নতার ফলে সংবিধানের ধারা ১৪,১৫,২১ ও ৪৪ বারবার লঙ্খিত হচ্ছে, আদালত সেদিকে খেয়াল করুক। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ প্রশ্ন করে, ‘‘কারওর ব্যক্তিগত আইনে নাক না গলিয়ে কেন্দ্র কি বিবাহ বিচ্ছেদের আইনের অসাম্য দূর করতে পারে?’’ আদালত এই বিষযে কেন্দ্রীর সরকারের মতামতও জানতে চেয়েছে।আলোচনা প্রসঙ্গে, উঠে আসে তিনতলাক প্রসঙ্গ। আবেদনকারী মতপ্রকাশ করেছিলেন, ধর্ম ভেদে ভিন্ন ভিন্ন বিচ্ছেদ আইন থাকায় মহিলাদের সঠিক বিচারের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আর সেই মতকে সমর্থন করে আদালত।আবেদনে এ-ও বলা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকার যেন ভিন্ন ধর্ম ব্যতিরেকে বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় ক্ষতিপূরণ ইত্যাদির জন্য একক আইন প্রণয়ন করে। আরও বলা হয়েছিল, বিচ্ছেদ আইনের ভিন্নতার ফলে সংবিধানের ধারা ১৪,১৫,২১ ও ৪৪ বারবার লঙ্খিত হচ্ছে, আদালত সেদিকে দৃষ্টিপাত করুক। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ প্রশ্ন করে, ‘‘কারওর ব্যক্তিগত আইনে নাক না গলিয়ে কেন্দ্র কি বিবাহ বিচ্ছেদের আইনের অসাম্য দূর করতে পারে?’’ আদালত এই বিষযে কেন্দ্রীর সরকারের মতামতও জানতে চেয়েছে।
Related articles