মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসিকে দেওয়া হলো ফ্রান্সের সর্বোচ্চ অসামরিক সন্মান!

সাইফুল্লা লস্কর : মিশরের প্রেসিডেন্ট এবং সামরিক শাসক ফাতাহ আল সিসিকে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান লিজিয়ন দা ওনার এ ভূষিত করলো ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল মাক্রো। এমনই খবর শোনা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিশেষ করে মিশরের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে।খবরটি প্রকাশ করা হয়েছে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম টি আর টি তেও।

যদিও মাক্রোর নেতৃত্বাধীন ফ্রান্সের সরকার এই খবরটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে কিন্তু মিশরের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই খবরটি গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করা হয়েছে।ফরাসি প্রেসিডেন্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে খবরটি প্রকাশ করা হয় নি এবং ফ্রান্সের ইলিসি প্যালেসের ওয়েবসাইট টিতেও এই খবরটি গোপন রাখা হয় যেখানে এই সন্মান প্রদানের অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।তবে টি আর টি এর খবর অনুসারে মিশরের সামরিক শাসকের ব্যাক্তিগত ওয়েবসাইট থেকে খবরটির সত্যতা নিশ্চিত করা গিয়েছে।

উল্লেখ্য বর্তমানে মিশরের রাষ্ট্রপতি সিসি তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ফ্রান্স অবস্থান করছেন। মিশরে গণতন্ত্রকে ধ্বংস,প্রতিবাদী কণ্ঠ রোধ এবং ব্যাপক মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ তুলে ফ্রান্সে সিসির সফরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন জানাচ্ছেন হাজার হাজার সমাজকর্মী, লেখক এবং মানবাধিকার কর্মী।এই জন্যই সম্মান প্রদানে এই গোপনীয়তা বলে অনেকে ধারণা করছে।

মুহাম্মদ মুরসির নেতৃত্বাধীন ইখওয়ানুল মুসলিমিনের নির্বাচিত সরকারকে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করে মিশরের ক্ষমতা দখল করে পশ্চিমা বিশ্ব এবং আরব বিশ্বের মদদপুষ্ট আল সিসি।আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত বেশ কয়েক বছর থেকে ফ্রান্সের সঙ্গে সিসির মিশরের সম্পর্ক বেশ উন্নতি লাভ করেছে। বিশেষ করে ভূমধ্যসাগরে তুরস্কের তেল অনুসন্ধানের বিরুদ্ধে তাদের অভিন্ন অবস্থান এবং লিবিয়ায় তুরস্কের অবস্থানের বিরুদ্ধে খলিফা হাফতারকে সাহায্য করাকে কেন্দ্র করে দুই দেশ পরস্পরের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।নিজের দেশের এবং এককালের মিত্র তুরস্কের বিরুদ্ধে ফ্রান্সকে সাহায্যের জন্যই সিসি এই পুরস্কার পেলো বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Latest articles

Related articles