নিউজ টুডে : দ্বিতীয় ঢেউ এর আঘাতে সারা ভারতে ত্রাহি ত্রাহি রব। দোরগোড়ায় তৃতীয় ঢেউ। একটি কম বয়সীদের জন্য আরেকটি শিশুদের জন্য ভয়ংকর। কিন্তু শুধুমাত্র ৪৫ বছরের বেশি বয়সিদের বিনামূল্যে টিকা দিচ্ছে কেন্দ্র। অথচ তার কম বয়সিদের জন্য সে রকম ব্যবস্থা নেই। ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের টিকার বিনিময়ে টিকাকরণ নীতি ‘অযৌক্তিক’, ‘খামখেয়ালি’। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
দেশে টিকার সংকট দেখা দিয়েছে ইতিমধ্যেই। মাঝে বহু টিকাকরণ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে পড়েছিল টিকার অভাবে। ১ মে থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের টিকাকরণে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু এই বয়সিদের টিকাকরণের গতি সেভাবে নেই। কেন্দ্রের ভ্যাকসিন নীতি এর জন্য দায়ী। এই বিষয়টিকেই বিশেষজ্ঞরা দায়ী করছেন। অথচ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কিন্তু সংক্রামিত বেশি হচ্ছেন অল্পবয়সিরা। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে মামলা গ্রহণ করেছে।
সেই শুনানিতেই আজ সুপ্রিম কোর্ট জানাল, ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিরা শুধু করোনায় আক্রান্ত বেশি হচ্ছেন, তা নয়। অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক হচ্ছে। এমনকী অল্পবয়সিদের মধ্যে মৃত্যুর হারও বেড়েছে। চরিত্র বদলেছে মহামারি। তাই এই অল্পবয়সিদের দ্রুত টিকা দেওয়া খুব জরুরি। এদিকে এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের বিনামূল্যে টিকাকরণের নীতি নেয়নি। এই নীতিকে তাই ‘অযৌক্তিক এবং খামখেয়ালি’ বলল সুপ্রিম কোর্ট।
কেন্দ্রের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, যে নীতির বিষয়ে বিচারবিভাগ কথা বলতে পারে না। এই প্রসঙ্গেও কেন্দ্রকে ধমক দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় নীতির কারণে নাগরিকরা সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হল আদালত চুপ করে বসে থাকবে না।’ এর আগেও মোদি সরকারকে বার বার করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য বিভিন্ন আদালতের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে।