দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সোনারপুর থানার পুলিশ সুরাপ হোসেন নামক অন্য একজন পুলিশকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ধরে পিটিয়েছে।। গত ৬ আগস্ট সোনারপুর থানার বেনিয়া বউ গ্রামে । যেভাবে পুলিশ সুরাপ হোসেনকে পিটিয়েছে তার বর্ণনা করার জন্য পৈশাচিক নারকীয় ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর কোন শব্দই যথেষ্ট নয় । সুরাফ হোসেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর থানার বিরা পুলিশ ফাঁড়ির স্টাফ। এস আই। বাড়ি বেনিয়া বউ গ্রামে। যখন পুলিশ মহান ( ? ) কাজটি করছিল তখন কারো গায়ে পুলিশের পোশাক ছিল না । সকলের পায়ে হাওয়াই চপ্পল ছিল । স্থানীয় সূত্রে জানা যায় সোনারপুর থানার অফিসার সোমনাথ বাবুর নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ ঐ গ্ৰামে আসে হোসেন আলী নামে ৮৫ ঊর্ধ্ব একজন বৃদ্ধকে খোঁজার জন্য। তারা সুরাফ হোসেন এর বাড়ির সামনে হাজির হয়ে সুরাপ হোসেন এর কাছে জানতে চায় এটা হোসেন আলীর বাড়ি কিনা । উত্তরে সুরাপ হোসেন জানান তার নাম সুরাপ হোসেন । এটা হোসেন আলীর বাড়ি নয়। হোসেন আলীকে কেন খুঁজছে তিনি জানতে চান। তখন সোমনাথ বাবু সুরাপ হোসেনের কলার ধরে টানতে টানতে নিয়ে যেতে থাকে । তখন সুরাফ হোসেন সোমনাথ বাবুকে বলেন তিনি নিজে পুলিশ। তিনি অশোকনগর থানার স্টাফ । তিনি আসামি নন। তাকে এভাবে কেন কলার ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে , মারধোর করা হচ্ছে । কিন্তু সোমনাথ বাবু তার কোন কথায় কর্ণপাত না করে তাকে মারধর করতে থাকে এবং ফোন করে থানা থেকে আরও পুলিশ আনিয়ে সুরাপ হোসেনকে বেনিয়া বউ গ্রামের মাঠে ফেলে বারো তেরো জন পুলিশ সবাই মিলে পশু পেটানোর মত করে পেটায় । তাকে উলঙ্গ করে দেওয়া হয় । তার বাড়ির কোন লোককে তার কাছে আসতে দেয়নি । প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা পুলিশের তান্ডব লক্ষ্য করেছেন গ্রামবাসী কিন্তু গ্রামবাসীদের কাউকে সেখানে আসতে দেওয়া হয়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকেও কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি । স্থানীয় তৃণমূল নেতা কুদ্দুস সাহেব কে মেরে তার হাত ফাটিয়ে দিয়েছে। সুরাপ হোসেনের বিরুদ্ধে অনেক গুলি ধারায় মামলা দিয়েছে। জামিন আজও হয়নি। এখন জেলবন্দী। যে হোসেন আলীকে পুলিশ খুঁজতে গিয়েছিল তাঁর বাড়ি সুরাপ হোসেনের বাড়ি থেকে অনেক টা দুরে। গ্ৰামের অন্য পাড়ায়। পুলিশ তাকে এখনো গ্ৰফতার করেনি। প্রশ্ন হচ্ছে পুলিশ গিয়েছিল হোসেন আলী নামে একজন কে খুঁজতে। তারা হোসেন আলীর বদলে সুরাপ হোসেন কে ধরে এভাবে কেন অত্যাচার করল? তার বাড়ির লোকের উপর অত্যাচার করল? পুলিশ যা করলো তা সম্পূর্ণভাবে আইন বিরুদ্ধ। পুলিশ নিজেই আইন ভেঙে বেআইনি কাজ করল। এবং পুলিশ যা করেছে তা ভারতীয় আইন অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ । এই ঘটনার একজন কর্মরত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে উপযুক্ত তদন্তের দাবি চেয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিল এসডিপিআই। এসডিপিআই এর রাজ্য সভাপতি তায়েদুল ইসলাম আরো জানান, এই ঘটনায় দোষী সকলকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।