নিউজ ডেস্ক : আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্যের দলবদলের আসর ক্রমেই জমে উঠছে। বেশিরভাগ দলত্যাগী বিধায়ক সংসদ বিধায়ক এবং নেতানেত্রীদের গন্তব্য গেরুয়া শিবির। কয়েকটা ক্ষেত্রে গেরুয়া শিবির থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে আসতেও দেখা গেছে গেরুয়া শিবিরের কিছু নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের। কিন্তু এবার রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাবি অনুসারে, ৬ থেকে ৭ জন সাংসদ তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন বলে মঙ্গলবার দাবি করেছেন তিনি। গেরুয়া শিবিরের অবশ্য পাল্টা বক্তব্য, দলে ভাঙন ঠেকাতেই ‘পেপটক’ দিচ্ছেন খাদ্যমন্ত্রী। তবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এই বক্তব্যের পর থেকেই রাজ্যে শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা তাহলে সত্যিই কি ৭ জন সাংসদ তৃণমূলে যোগদান করতে যাচ্ছেন? তবে তারা কোন দলের সে বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।
মঙ্গলবার হাবড়ায় কিছু তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা বিজেপিতে যোগ দানের প্রসঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘‘সারদায় যুক্তরাই দুর্নীতির কথা বলছেন। ওঁদের সিবিআই, ইডি ডাকছে। ওই ডাক পেয়েই তাঁরা বিজেপিতে যাচ্ছেন। কিন্তু ৩১ মে-র পরে তাঁরা ফের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য লাইন দেবেন। তখন সব গেট বন্ধ হয়ে যাবে।’’ শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ‘রহস্য’ জিইয়ে রেখে ওই তৃণমূল নেতা বলছেন, ‘‘শুভেন্দুর ভাবনাচিন্তা আমার কাছে ধোঁয়াশাজনক। আদৌ উনি বিজেপিতে থাকবেন?’’ এর পরই জ্যোতিপ্রিয় দাবি করেন, ‘‘৬ থেকে ৭ জন সাংসদ মে মাসের প্রথম সপ্তাহে তৃণমূলে যোগ দেবেন।’’ তাঁর আরও দাবি,‘‘যে সব বিধায়ক বিজেপিতে গিয়েছিলেন তাঁরা এখন যোগাযোগ করছেন। উল্লেখ্য এমন ঘটনা ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার লক্ষ্য করা গিয়েছে। যখন তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিভিন্ন নেতাকর্মীরা বিজেপিতে গিয়েছেন বা যাওয়ার চেষ্টা করেছেন কিন্তু পরবর্তীতে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরত এসেছেন তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
জ্যোতিপ্রিয়র এই দাবি নিয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যর প্রতিক্রিয়া, ‘‘উনি অত্যন্ত সচেতন ভাবে এ সব কথা বলছেন। কারণ উনি দলের তৃণমূল স্তরের অবস্থা বুঝতে পারছেন। তৃণমূলের ভাঙ্গন রুখতে তিনি এসো সব বলেছে।”