নিউজ ডেস্ক : আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারণা চলছে রাজ্যজুড়ে। তারই অংশ হিসেবে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। এদিন তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে ‘বেইমান’ বলে কটাক্ষ করেন। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বিনয়ের সুরে বললেন, “দলের নেতা-কর্মীদের ভুলের জন্য প্রয়োজনে সমস্ত রাজ্যবাসীর কাছে ক্ষমা চাইব।”
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা জেপি নাড্ডার বিরুদ্ধে তোপ দেগে মদন মিত্র আবার বলেন বলেন, “নাড্ডাদের জন্য গাড্ডা তৈরি হচ্ছে বাংলায়।” এনআরসি ইস্যুতে বিজেপি সরকারকে খোঁচা দিয়ে বঙ্গবাসীদের সতর্ক করে বলেন, “বিজেপি জিতলে আপনার বাড়িতে আপনাকেই থাকতে দেবে না ওঁরা। সিএএ, এনআরসির অজুহাত দেখিয়ে অসমের বাসিন্দাদের মতো এরাজ্যের গরিব মানুষের জমি লুট করবে।” এরপরই শুভেন্দু অধিকারীকে ‘বেইমান’ বলে কটাক্ষ করেন মদন। বলেন, একই পরিবারের দু’জনকে সাংসদ, একজনকে বিধায়ক ও একাধিক দপ্তরের মন্ত্রী করেছিলেন মমতা। তারপরও শত্রুর সঙ্গে আপস করেছেন তিনি। কর্মীরা তো কোনদিনও মন্ত্রী হননি। তারপরও হাজার হাজার কর্মী আজও তৃণমূলের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে হাঁটছেন। কারণ, তাঁরা ‘বেইমান’ নন।” বিরোধীদের আক্রমণের পাশাপাশি এদিন দলের নেতা-কর্মীদের ভুলের জন্য আমজনতার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী। বলেন, “আমাদের উপর রাগ থাকলেও তৃণমূলের উপর অভিমান করবেন না। প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পা ধরে ক্ষমা চাইব।”
দীর্ঘ কয়েক বছর বাদে বাঁকুড়ার শিল্পাঞ্চলে প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রর বক্তব্য শুনতে বিশাল জনসমুদ্রের দেখা মেলে। মদন মিত্রর সঙ্গে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা মেন্টর অরূপ চক্রবর্তী, জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা, বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা জঙ্গলমহলের উদীয়মান তৃণমূল নেতা রাজকুমার সিংহ প্রমুখ। অন্যদিকে এদিন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের রাজনৈতিক ঘাঁটি হাবড়ায় সভা করেন জৈব প্রযুক্তি মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মঞ্চ থেকে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনাদের হাতেই বাংলার এত মানুষের ভবিষ্যৎ। আপনারাই ঠিক করুন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কোনও শাহ বা বর্গীয় হবেন, নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”