
পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই দিনে, মুর্শিদাবাদের অশান্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৯টি মন্দির পুনর্নির্মাণের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে, এই ধর্মীয় আয়োজনের ছায়ায় বঙ্গ বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলও চোখে পড়ার মতো। দলীয় সহকর্মী দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে টুইট করেন বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ।
সৌমিত্র খাঁ তাঁর টুইটে দিলীপ ঘোষকে লক্ষ্য করে লেখেন, “একজন ত্যাগী থেকে কীভাবে ভোগীতে পরিণত হওয়া যায়, তার জ্বলন্ত উদাহরণ দিলীপ ঘোষ। বাবুল-মুকুলদের তাড়িয়ে আজ তিনি নিজেই তাদের পথে হাঁটছেন। এমন নির্লজ্জ আদর্শহীনতা বঙ্গ বিজেপির জন্য লজ্জার!” গত কয়েক মাস ধরে দিলীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে দলের ভিতরে অসন্তোষের ইঙ্গিত মিললেও প্রকাশ্য সমালোচনা চাঞ্চল্য তৈরি করেছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরে দাঁড়িয়ে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেন, যা তৃণমূলের হিন্দু ভোট ব্যাংক জোরদারের কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারী একই জেলা থেকে ভার্চুয়ালি মুর্শিদাবাদের মন্দির পুনর্নির্মাণের সূচনা করেন। বিশেষজ্ঞরা এটিকে বিজেপির ‘মন্দির রাজনীতির’ প্রতিযোগিতা বলে ব্যাখ্যা করেছেন।

আদালতের অনুমতি নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে আয়োজিত হয় সনাতনী সমাবেশ। এতে বক্তব্য রাখেন বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রধান কার্তিক মহারাজ, হিরন্ময় মহারাজ ও পুরী ধামের দ্বৈতাপতি ভবানী প্রসাদ দাস। হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে বিজেপির এই আয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।

ধর্মীয় জিগিরকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব বাড়ানোর লড়াইয়ে তৃণমূল ও বিজেপি যেন প্রতিযোগিতায় নেমেছে। তবে, বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল দলের একতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই দ্বন্দ্ব ও কৌশলগত আয়োজন রাজ্য রাজনীতির গতিপথ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান থেকে ধর্ম নিয়ে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।