রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সংগীতে আপত্তি,পরিবর্তন চান বিজেপি সাংসদ সুব্রামানিয়াম স্বামীর

নিউজ ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ আসাম ত্রিপুরা তথা বাংলা ভাষাভাষী সমস্ত জনপথের মানুষের কাছে সাহিত্য সম্রাট, বিশ্ব কবি, কবি গুরু রবি ঠাকুর। তাই তাকেই ব্যবহার করে ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার হবার প্রচেষ্টায় আছে রাজ্য বিজেপি। কারণ বিজেপি জানে বাংলার ঐতিহ্য সাহিত্য ইতিহাস এবং সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে রবীন্দ্রনাথের লেখনি তার চিন্তা চেতনা। কিন্তু এবার সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জাতীয় সংগীত ‘জন গণ মন’ পরিবর্তন চান বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রামানিয়াম স্বামী। এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে একটি চিঠি লিখেছেন বলে জানিয়েছেন। মোদি সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করেছেন। এই মর্মে স্বামী একটি টুইট করেছেন। তার দাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৩ শে জানুয়ারি ২০২১ এর আগে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের ব্যাপারে সদর্থক কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।

নানা মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে এশিয়ার প্রথম নোবেল বিজয়ী, ভারতবর্ষের সাহিত্য জগতের মুকুট, ভারত এবং বাংলাদেশ দুই দেশের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘জন গণ মন’ সঙ্গীতটি কেন এত আপত্তি বিজেপি সংসদ সুব্রমনিয়ম স্বামীর। জাতীয় সংগীত এর ব্যাপারে এমন মন্তব্য করে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়েছেন এই বিজেপি সংসদ কিন্তু এবারে তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকেই ব্যাপারে চিঠি লিখেছেন। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন ভারতবর্ষের যুবসমাজের মনের কথা তিনি বলতে চেয়েছেন। তার কথায় রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘জন গণ মন’ সঙ্গীতটিতে যে ‘সিন্ধু’ দেশের উল্লেখ রয়েছে তা বর্তমান ভারতবর্ষের অংশ নয় বরং ভারতবর্ষের তথাকথিত চিরশত্রু পাকিস্তানের একটি প্রদেশের নাম সে জন্যই তার জনগণমন সঙ্গীতটি জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করতে যত আপত্তি। এ প্রসঙ্গে অনেকে প্রশ্ন করেছেন তিনি অখন্ড ভারতের স্বপ্ন দেখেন এবং তিনি যে আরএসএস এর মতাদর্শে বিশ্বাসী তাদের হিসাবে সিন্ধুদেশ অখন্ড ভারতের একটি অংশ তাহলে কেন তিনি সিন্ধু দেশকে জাতীয় সংগীত থেকে বাদ দিতে চান?

তিনি ‘জন গণ মন’ এর পরিবর্তে সুভাষচন্দ্র বসুর আই এন এর জন্য লেখা ‘কাওমী তারানা’ গানটির প্রথম অংশ ‘শুুভ হো সুখ চ্যান’ কে জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন। সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি বা আই এন এর এই সঙ্গীতটি বর্তমান জাতীয়় সংগীত এর আদলে লেখা হয়েছিল যে টি গাইতে সময় লাগে ৫৫ সেকেন্ড যেখানে রবীন্দ্রনাথের ভারতের বর্তমান জাতীয় সংগীত গাইতে সময় লাগে ৫২ সেকেন্ড।

Latest articles

Related articles