নিউজ ডেস্ক : একটি সংবাদ সম্মেলনে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল তার সাথে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে ‘দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা। এর উত্তরে জেনারেল লয়েড অস্টিন বলেন, ‘আমি তার সাথে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলার সুযোগ পাইনি। তবে এ ইস্যু নিয়ে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যের সাথে আমার আলোচনা হয়েছে।’
মার্কিন সিনেট কমিটি ‘ভারতের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির অবক্ষয়’ নিয়ে যে সবার মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন সে সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করা হলে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আইনের শাসন ও মানবাধিকার খুবই গুরত্বপূর্ণ।’
জানুয়ারিতে জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল লয়েড অস্টিন হলেন নতুন মার্কিন প্রশাসনের প্রথম শীর্ষ ব্যক্তি যিনি ভারত সফরে এলেন।
এ সফরের মূল লক্ষ্য হলো কোয়াডের সদস্যদের মধ্যে শক্তিশালী কৌশলগত সম্পর্ক গঠন করা (ভারত, জাপান, অষ্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) যাতে এ অঞ্চলে চীনা প্রভাবকে বাধা দেয়া যায়। তিনি ভারতে এসেছেন জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সফরের পর।
উল্লেখ্য, ভারতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিস। এমনকি সরাসরি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন তারা। কাশ্মীরে মোদি সরকারের নেওয়া অবরোধের ব্যাপারে মোদি সরকারকে জবাবদিহিতা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন বাইডেন হ্যারিস জুটি। তবে এখন কতটা বাস্তবে তারা মোদি সরকারকে এই ব্যাপারে চাপের মুখে ফেলতে চায় সেটাই এখন দেখার।