আইনজীবী পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বিজেপির মজদুর সেলের সদস্য নাজিয়া এলাহি খান আইনজীবী পরিচয়ে দাম্পত্য-মামলা মেটানোর আশ্বাস দিয়ে ৬ লক্ষ টাকা নেন। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় টাকা চাওয়ায় বিজেপি নেত্রী হুমকি দেন বলে অভিযোগ। ২০২০ সালে ভিআইপি রোডের বাসিন্দার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বিজেপি নেত্রীকে গ্রেফতার করে গিরিশ পার্ক থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মামলা মিটিয়ে দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে ধৃত নাজিয়া ইলাহি খানের বিরুদ্ধে। বাগুইআটি থানায় নাজিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন সন্দীপ আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তি। তাঁর দাবি, নাজিয়া তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই বিজেপি নেত্রী প্রায় ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সন্দীপ। কিন্তু মামলার নিষ্পত্তি হয়নি বলেই দাবি তাঁর। এর পরই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।
এর পরই তদন্তে নেমে বার কাউন্সিল, বার অ্যাসোসিয়েশনে চিঠি দেয় পুলিশ। তদন্ত করে পুলিশ নিশ্চিত হয় নাজিয়া ইলাহি খান আইনজীবী নন। এদিকে পুলিশে অভিযোগ জমা পড়ার পর থেকে নাজিয়া বিভিন্ন রাজ্যে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। নাজিয়ার ফেসবুক প্রোফাইল বলছে, সম্প্রতি একাধিকবার ত্রিপুরা গিয়েছিলেন তিনি। একাধিক বিজেপি নেতার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা চোখে পড়ার মতো। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে রাজারহাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গিরীশ পার্ক থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে দিলীপের হাত থেকে বিজেপি-র পতাকা নেন নাজিয়া। তিন তালাক মামলার অন্যতম অভিযোগকারী ইশরাত জাহান বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পরে পরেই গেরুয়া শিবিরে আসেন নাজিয়া। এই প্রসঙ্গে দলের পক্ষে রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘অনেকেই বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। সবাইকে আমি চিনি না। এঁকেও চিনি না।’’ তবে নাজিয়াকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিজেপি-র আইন ও মজদুর সেলের নেত্রী হিসেবে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন সময়ে। তাঁর সঙ্গে অনেক নেতার ঘনিষ্ঠতার ছবিও দেখা গিয়েছে।