উজ্জ্বল দাস,আসানসোল: আজ বুধবার থেকে রাজ্যে শুরু হল পরীক্ষামূলক ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প।এই পাইলট প্রকল্পে ১৫ শতাংশ রেশন ডিলারকে আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে খাদ্য দফতর।
সেইমত সালানপুর ব্লকেও আজ থেকে শুরু হল এই দুয়ারে রেশন প্রকল্প । সালানপুর ব্লকের জিৎপুর পঞ্চায়েতের কুসুমকানালি গ্রাম থেকে এই দুয়ারে রেশন প্রকল্পের সূচনা করলেন সালানপুর যুগ্ম ব্লক আধিকারিক অনুরাভ মন্ডল ও জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান ।
এদিন পশ্চিম বর্ধমান রেশন ডিলার এসোসিয়েশনের সদস্য দামোদর তেওয়ারী জানান যে, মমতা ব্যানার্জির
এই প্রকল্প স্বপ্নের প্রকল্প। তাঁর এই প্ৰকল্পকে সাধুবাদ জানাই।
সালানপুর ব্লকের দুয়ারে রেশনের পাইলট প্রজেক্টে আজকে জিৎপুর উত্তরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মালা দত্ত রেশন ডিলার থেকে এই প্রকল্প ট্রায়াল শুরু হচ্ছে। এই ট্রায়াল সফল হলে আগামী দিনে বাড়ি বাড়ি যাবেন রেশন ডিলাররা। তিনি বলেন, সরকার চাইলে আর সরকার আমাদের ঠিকমত টাকা দিলে আমাদের রেশনের সাথে সাথে ভাতের থালা পর্যন্ত ধুয়ে আসতে পারি। বিধিবদ্ধ রেশন এলাকার আওতায় থাকা সাব এরিয়া ও সংশোধিত রেশন এলাকায় ব্লক পুরসভার ভিত্তিতে ১৫ শতাংশ রেশন ডিলারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই রেশন ডিলাররা রেশন–গ্রাহকদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে রেশন পৌঁছে দেবেন। এটাকেই বলা হচ্ছে ‘দুয়ারে রেশন’। তাছাড়া রাজ্য সরকার গতিধারা প্রকল্পের আওতায় গাড়ি কেনার জন্য এক লক্ষ টাকা দিচ্ছে ।বাকি নিজেদের দিতে হবে ।যদি সরকার গাড়ির ব্যাবস্থা করে এতে অসুবিধার কিছুই নেই ।
এসম্পর্কে জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বিধানসভা ভোটের পূর্বে সাধারণ মানুষকে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের কথা দিয়ে ছিলেন সেকথা মত নির্বাচন ফলাফলের পরেই তিনি দুয়ারে সরকারের সাথে সাথে দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করা হল।সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এই প্রকল্প চালু করা হল ।আজকে সালানপুর ব্লকেও পাইলট প্রজেক্টের মধ্যে দিয়ে কুসুমকানালি গ্রামে গ্রামের দশজন উপভোক্তাদের এই রেশন প্রদান করে হল।
এদিন এই দুয়ারে রেশন প্রকল্পে সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, জিৎপুর উত্তরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তাপস চৌধুরী,সালানপুর ব্লক রেশন
অফিসার সমীরদাস , পঞ্চায়েত সদস্য ছন্দা দে
সহ আরও অনেকে ।