৩ মাসের মধ্যে পুরো আফগানিস্থানের দখল নেবে তালিবান, বলছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG_20210813_095830

 

নিউজ ডেস্ক : আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণার পর থেকেই তালিবান একের পর এক গ্রাম এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ আফগান শহরগুলির দখল নিতে শুরু করে। তালেবানের দাবি অনুসারে বর্তমানে আফগানিস্তানের পুরো ভূখণ্ডের ৯০ শতাংশের বেশি তাদের দখলে রয়েছে। গত এক সপ্তাহে দেশের ৩৪ টি প্রদেশের মধ্যে ৯ টি প্রদেশের রাজধানী শহরের দখল নিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। ইতিমধ্যে তালিবানের এই অপ্রত্যাশিত দ্রুতগতির উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগনের রিপোর্টে আরও এক বড় আশঙ্কার কথা প্রকাশিত হল। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের এ কথা জানানো হয়েছে আগামী তিন মাসের মধ্যে আফগানিস্তানের ক্ষমতার দখল নিতে পারে তালিবান।

গত এক সপ্তাহে আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে নয়টি প্রদেশের রাজধানী দখল করেছে তালিবান। তার মধ্যে রয়েছে শেবেরঘান (জাজওয়ান প্রদেশ), জারাঞ্জ (নিমরুজ প্রদেশ), তালেকান (জাজওয়ান প্রদেশ), আইবক সিটি (সামাঙ্গান প্রদেশ), কুন্দুজ শহর (কুন্দুজ প্রদেশ), সর–এ–পুল শহর (সর–এ–পুল প্রদেশ), ফৈজাবাদ (বাদাখশান প্রদেশ), তালুকান (তাখার প্রদেশ), ফারাহ সিটি (ফারাহ প্রদেশ)। এই গভীর সঙ্কটের সময় কাবুলের পতন সময়ের অপেক্ষা মাত্র বলেই দাবি করা হয়েছে মার্কিন রিপোর্টে। পরিচয় গোপন রাখা হবে, এই শর্তে পেন্টাগনের এক আধিকারিক রয়টার্সকে এই রিপোর্টের কথা জানিয়েছেন।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের আশঙ্কা, তালিবান যে গতিতে এগোচ্ছে এবং যেভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠছে, তাতে এক মাসের মধ্যে কাবুলকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে পারবে তারা। তারপরে আর দু’মাসের মধ্যেই দেশের রাজধানীকে সম্পূর্ণভাবে নিজেদের দখলে নিয়ে আসতে পারবে তালিবান বাহিনী। অর্থাৎ, তিন মাসের মধ্যে কাবুলের পতন অনিবার্য। এদিকে, আফগান সেনার জন্য পরিস্থিতি জটিল করে কুন্দুজের সেনা ঘাঁটি ও বিমানবন্দর দখল করে নিয়েছে তালিবান। এরই মধ্যে আজ মাজার–ই–শরিফে গিয়েছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি। বুধবার তালিবান হুমকি দিয়েছিল যে, এবার মাজার দখল করবে তারা। আগামী কয়েক দিনের জোরদার লড়াইয়ে সেনাদের মনোবল বাড়াতেই প্রেসিডেন্ট ঘানি মাজারে গিয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। আফগানিস্তানে হিংসা থামাতে দোহায় তালিবানের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে আমেরিকা, চিন, কাতার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, উজবেকিস্তান, পাকিস্তান ও রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধিরা। আফগান সরকারের পক্ষে ওই আলোচনায় শামিল হয়েছেন কাবুলের মধ্যস্থতাকারী আবদুল্লা আবদুল্লা। রয়েছেন আফগানিস্তানে নিযুক্ত বিশেষ মার্কিন দূত জালমে খলিলজাদ।

এই বহুপাক্ষিক বৈঠকে তালেবানের কাছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং আফগান সরকারের তরফে আফগান বাহিনীর ওপর হামলা থামানোর জন্য আবেদন জানানো হবে বলে জানা গেছে। তবে প্রথম থেকে তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠন এবং তাদের সঙ্গে আলোচনার বিপক্ষে থাকা আশরাফ ঘানি সরকার এখন তালেবানের সঙ্গে নিজেদের ক্ষমতা ভাগাভাগি করার প্রস্তাব দিয়েছে গতকাল। খবর আল জাজিরার। তবে ব্যাপক মাত্রায় সাফল্য অর্জন করতে থাকা তালিবান এখন আফগান সরকারের এই প্রস্তাব গ্রহণ করে কিনা সেটাই এখন দেখার। তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে তালিবান আপাতত আফগান সরকারের কোনো শর্ত মানতে রাজি হবে না।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর