NBTV ডেস্ক : উৎসবের মরসুমে ফের দেশের যুবক-যুবতীদের উগ্র হিন্দুত্বের পাঠ শেখালেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। রবিবার উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানিতে একটি অনুষ্ঠানে আরএসএস কর্মী এবং তাঁদের পরিবারের উদ্দেশ্যে আরএসএস প্রধান বলেন বিয়ের জন্য নিজের ধর্ম ছেড়ে হিন্দু ছেলেমেয়েরা যে অন্য ধর্ম গ্রহণ করছে তা অনুচিত। তিনি বলেন, হিন্দুদের জাগরণের সময় এসেছে এখন। ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করার দাবি বাড়ছে হিন্দুত্ববাদীদের মধ্যে। ঠিক সেই সময়ে ভাগবতের এই হিন্দু জাগরণের তত্ব আশঙ্কা বাড়িয়েছে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের আপামর জনসাধারণের মনে।
ভাগবতের কথায়, “যখন হিন্দুরা জাগ্রত হবে, তখন বিশ্ব জাগবে। তাই হিন্দু ধর্মকে জাগরণ করার সময় এসেছে এখন।”
কর্মীদের ভিন ধর্মের কাউকে বিয়ে না করার নদান দিয়ে আরএসএস প্রধান বলেন, “যারা এটা করছে তাঁরা ভুল করছে। আমাদের সন্তানদের সঠিকভাবে লালন পালন করতে হবে। বিয়ের জন্য অন্য ধর্ম গ্রহণ করা ভুল। আমাদের তাদের এই মূল্যবোধগুলো দিতে হবে। বাড়ির থেকেই তো শিখবে। নিজেরদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি নিয়ে গর্বিত হতে হবে।”
ধর্ম ও ধর্মান্তকরণ নিয়ে হিন্দুদের আরো কঠোর এবং সক্রিয় হতে বলেন তিনি। ভাগবত বলেন, “যদি প্রশ্নগুলো আসে তাহলে সন্তানদের উত্তর দিন। বিভ্রান্ত হবেন না। আমাদের সন্তানদের প্রস্তুত করা উচিত এবং এর জন্য আমাদের নিজেদেরও ধর্ম নিয়ে আরও অনেক কিছু শিখতে হবে।” রবিবারের অনুষ্ঠান থেকে তিনি চিরাচরিত পারিবারিক মূল্যবোধ রক্ষার কথা বলেন। দেশীয় খাবার, পর্যটনস্থল, ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধানের কথাও বলেন। তার কথায় ভারতের হিন্দুরা জাগলে তবেই বিশ্ব জাগবে।
তবে তার হিন্দু জাগরণের মন্তব্য তার প্রকৃত উদ্দেশ্যের ব্যাপারে অনেকের মনে প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। কিছুদিন আগেই এক হিন্দু সাধু ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করার দাবিতে অনশনে বসেছিলেন। হুমকি দিয়েছিলেন তার দাবি মানা না হলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। সাধু তার কথা রাখেননি। কিন্তু এবার হিন্দু জাগরণের ডাক দিলেন মোহন ভগবত। ভাগবতের মন্তব্যের সঙ্গে কোথাও যেন হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করার দাবির সঙ্গে যোগসাজশ দেখতে পাচ্ছেন অনেকে।