বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের কথা উঠলেই মাথায় আসে বিল গেটস, জেফ বেজস, আম্বানি ও আদানিদের নাম কিন্তু এদেরকেও ছাড়িয়ে এখনও বিশ্বের চার নম্বর ধনির তালিকায় রয়েছেন হায়েদ্রাবাদের শেষ নিজাম মির ওসমান আলি খান।
মির ওসমান আলি খান এর জন্ম ১৮৮৬ সালের ৬ই এপ্রিল। বেঁচে ছিলেন ১৯৬৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত। ১৯১১ সালের ২৯ শে অগাস্ট হায়েদ্রাবাদের নিজাম হিসাবে সিংহাসনে বসেন। রাজত্ব করেন ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত।১৯৩৭ সালের প্রকাশিত ‘টাইম ম্যাগাজিন’ এ বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশিত করা হয় তার মধ্যে প্রথম স্থানে ছিলেন নিজাম মির ওসমান আলি খান। যার মোট সম্পত্তির পরিমান ছিল ২৩৬ বিলিয়ন ডলার যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৮ লক্ষ কোটি টাকা।
এই বিপুল পরিমান অর্থের মালিক হয়ে পেছনে ফেলেছেন বিশ্বের তাবড় তাবড় ধনী ব্যক্তিদের। বর্তমানে সম্পতির নিরিখে বিশ্বের ধনীর তালিকায় চার নম্বরে রয়েছেন তিনি। ২০২২ সালে এলন মাস্ক এর সম্পত্তির পরিমান তাকে ছাড়িয়ে যায় এর আগে তার সম্পতির পরিমান ছিল বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি জেফ বেজস এর থেকে দেড় গুন বেশি।

জানা যায়, তিনি এতোটায় ধনী ছিলেন ওয়েট পেপার হিসাবে ব্যবহার করতেন অতি মূল্য বান ‘জেকব’ হিরে। তবে যে তিনি শুধু ভোগী ছিলেন তাই নয়, সামাজিক কাজেও বিপুল পরিমান অর্থ বরাদ্দ করতেন। জানা যায়, প্রতি বছর রাজস্ব খাত থেকে ১১ শতাংশ খরচ করতেন শিক্ষাক্ষেত্রে। বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি তৈরির সময় ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে অর্থ সাহায্য করেছিলেন তিনি, এছাড়াও আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি ও ইন্ডিয়ান ইন্সিটিউট অফ সায়েন্স তৈরির জন্য ৫ লক্ষ ও ৩ লক্ষ অর্থ সাহায্য করে ছিলেন।
তৈরি করে ছিলেন ভারতের সব থেকে বড় বিশ্ববিদ্যালয় ওসমানিয়া ইউনিভার্সিটি। গরিবদের জন্য ব্যাবস্থা করেছিলেন বিনামূল্যে বাধ্যতামূলক প্রাইমারী শিক্ষাব্যাবস্থা। হায়েদ্রাবাদ কোর্ট, জুবিলি হল রেল স্টেশন তাঁরই তৈরি। বানিয়েছিলেন ওসমানিয়া জেনারেল হসপিটাল ও নিজামিয়া হসপিটালও। তাঁর এই বিপুল পরিমান অর্থের জন্য মৃত্যুর পরও ধনীদের তালিকায় অন্যতম নাম হয়ে রয়ে গেছেন তিনি।